বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০৩০ সালে তাইওয়ানকে ছাড়িয়ে যাবে
বিশ্বজিৎ দত্ত: বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০৩০ সালের মধ্যে তাইওয়ানকে ছাড়িয়ে যাবে বলে অস্ট্রেলিয়ান থিংকট্যাংক বলে খ্যাত লওলি ইনস্টিউটের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল প্রকাশিত তাদের রিপোর্টে বলা হয়,এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৫টি দেশের ৮টি সূচকের উন্নয়নের ভিত্তিতে এই গবেষণাটি করা হয়েছে। এই ২৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শক্তির দিক থেকে ১৮তম। ভারত ও পাকিস্তান এই তালিকায় যথাক্রমে ৪ নম্বর ও ১৪ নম্বরে।
যে ৮টি সূচকের ভিত্তিতে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৫টি দেশের মান ও শক্তি নির্ধারণ করা হয়েছে এগুলো হলো,দেশটির সম্পদের পরিমান, সেনাবাহিনীর স্বক্ষমতা, দেশটির স্থিতীশীলতা, ভবিষ্যতের গতীমুখ, ক’টনৈতিক স্বক্ষমতা, অর্থনৈতিক প্রভাব, অন্যদেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক যোগাযোগ, সামরিক যোগাযোগ ও সাস্কৃতিক প্রভাব।
বাংলাদেশ সম্পর্কে গবেষণায় বলা হয়, এশিয়ায় শক্তির সূচকে দেশটি ৯ম, অর্থনৈতিক সম্পদে ১৬ তম, সেনা সক্ষমতায় ২০ তম, স্থীতিশীলতায় ১৫ তম, কূটনৈতিক প্রভাবে ১৭ তম, প্রতিরক্ষা যোগাযোগে ১৮ তম, সাংস্কৃতিক প্রভাবে ১৬ তম। সবেচেয়ে খারাপ সূচক হয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্কের দিক থেকে। যা ২৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৩ তম। বাংলাদেশের জিডিপি সম্পর্কে বলা হয়, দেশটির জিডিপি ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে ১৪১ শতাংশ । বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক সহযোগী ভারত। সবচেয়ে বড় বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা সহযোগী চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বালিজ্য ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নও রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ৩টি অর্থনৈতিক শক্তিশালি দেশ হবে এশিয়ার। চতুর্থটি হবে যুক্তরাষ্ট্র। জাপান হবে ভবিষ্যতে স্মার্ট শক্তি ও ভারত হবে জায়ান্ট শক্তি।
এ বিষয়ে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মীর্জ্জা এবি আজিজুল ইসলাম বলেন, ওদের গবেষণা পত্রটি আমি দেখিনি। তবে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পর্কে যে কথা বলা হযেছে, তা অবাস্তব নয়। কারণ বাংলাদেশের জিডিপি ধারাবাহিকভাবে ৬ এর উপরে রয়েছে। এটি খুবই ভালো একটি দিক। তা ছাড়া বিশ্বের আগামী দিকের যে অর্থনৈতিক ট্রেন্ড তাতেও এশিয়ার দেশগুলোই ভাল করেবে।
এশিয়া প্রশান্ত সাগরীয় অঞ্চলের শাক্তিশালি রাষ্ট্রগুলো হলো, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া,ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভিয়েতনাম. পাকিস্তান, তাইওয়ান, মায়ানমার, লাউস, শ্রীলংকা ও নেপাল। সম্পাদনা: উম্মুল ওয়ারা সুইটি