বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণে নাসার কেনেডি সেন্টার প্রস্তুত
মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে
মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট-১ উৎক্ষেপণে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেইপ ক্যানাভারালে অবস্থিত নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারটি এখন প্রস্তুত। টরন্টো থেকে ৯ মে সকাল সাড়ে ৬টায় এই প্রতিবেদন প্রেরণের মাত্র ১২ ঘণ্টা আগে অনলাইনে ওই সেন্টারের রকেট লাউঞ্চেস তালিকায় তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাতে উত্তর আমেরিকা মহাদেশে ১০ মে পূর্বাঞ্চলীয় সময় বিকাল ৪টা ১২ মিনিট, অর্থাৎ বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ২টা ১২ মিনিটে তা মহাকাশে উৎক্ষেপণ হবে। ওই সেন্টারের ওয়েবসাইটে লক্ষ্য বা মিশন সম্পর্কে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সেন্টারটির লাউঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯এ থেকে মহাকাশে প্রেরণ করা হবে। সেজন্য ‘ফ্যালকন ৯’ নামক একটি রকেটযান তা ‘জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটে’ বহন করে নিয়ে যাবে। এটি বাংলাদেশের প্রথম সংযোগ স্যাটেলাইট। এছাড়া প্রথমবারের মতো ‘স্পেসএক্স’ উৎক্ষেপণস্থলটি ব্লক ৫ সংস্করণের ফ্যালকন ৯ রকেট ব্যবহার করবে। সেটি পূর্বতন ব্লক ৪ প্রজন্মের উন্নত ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য সংস্করণ।
তাতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ওই উৎক্ষেপণ দেখতে উৎক্ষেপণস্থল থেকে আনুমানিক ৩ দশমিক ৯ মাইল অর্থাৎ ৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার দূরের অ্যাপোলো/ স্যাটার্ন ভি সেন্টারসহ ৭ দশমিক ৫ মাইল অর্থাৎ ১২ কিলোমিটার দূরের প্রধান দর্শনার্থী কমপ্লেক্সে সমবেত হওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ওই দুটি জায়গায় প্রাত্যহিক ২০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে যাওয়া সম্ভব এবং সেজন্য অতিরিক্ত কোনো টিকেট কেনার প্রয়োজন নেই।
আরও বলা হয়েছে, সাধারণত উৎক্ষেপণের দিনে অনেক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। সেজন্য আগেভাগেই সকলকে যেতে হবে। প্রাত্যহিক প্রবেশাধিকারের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট-১ উৎক্ষেপণ দেখতে বাড়তি দর্শনযোগ্য পরিবহন টিকেট কিনতে হবে না। সাধারণত অ্যাপোলো/ স্যাটার্ন ভি সেন্টারের নির্দিষ্ট দর্শণার্থী সীমা নির্ধারণ করা রয়েছে। সেজন্য দর্শনযোগ্য সময়সূচি দেখতে বলা হয়েছে। আর ওই নির্ধারিত দর্শণার্থী সীমা পূরণ হয়ে গেলে স্পেস সেন্টারের প্রাত্যাহিক বাস ট্যুরটিও আগেভাগে বন্ধ হয়ে যাবে। নিরাপত্তাজনিত কারণে একমাত্র সেন্টারের ট্যুর বাসেই এ দুটি জায়গায় যাওয়া যাবে। টিকেট প্রাপ্তির জন্য টেলিফোন: (৮৫৫) ৪৩৩-৪২১০ ও অনলাইন ঠিকানা: যঃঃঢ়ং://িি.িশবহহবফু ংঢ়ধপব পবহঃবৎ.পড়স/রহভড়/ঃরপশবঃং।
বলা হচ্ছে, যে কোনো রকেট উৎক্ষেপণই আপনার অনুভূতিকে আন্দোলিত করবে। সেটির বিস্ফোরিত শব্দে দৃষ্টি মেলে দেখা এক হতবাক করা অনুভূতি! এছাড়া ওই উৎক্ষেপণ দেখা যাবে টুইটারে: যঃঃঢ়ং://ঃরিঃঃবৎ.পড়স/ঊীঢ়ষড়ৎব ঝঢ়ধপব কঝঈ এবং ফেসবুকে: যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/কবহহবফু ঝঢ়ধপব ঈবহঃবৎ ঠরংরঃড়ৎ ঈড়সঢ়ষবী।