‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন কৌশল দর্শন দারিদ্র্যমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ’
জাফর আহমদ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচিত ১০০ ভাষণকে তার ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়ন কৌশল হিসেবে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমান। গতকাল এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ভাবনার মূলেই হলো বঙ্গবন্ধুর ভাবনা। আর বঙ্গবন্ধুর ভাবনার মূলে হলো এদেশের সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে কৃষক শ্রমিক, তথা কম আয়ের মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কৌশলকে এক কথায় যদি বলা যায় তাহলে বলা যায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল। এটা হলো প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দর্শন।
আতিউর রহমান বলেন, যেদিন আমি গভর্নর হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পা রেখেছি সেদিনই আমাকে একটি গাইড লাইন দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটা আমাকে বলার কথা না। তারপরও তিনি সেদিন সেটা আমাকে বলেছিলেন। সেটা হলো ’ওয়ার্ক ফর দ্যা পোর’- গরিবের জন্য কাজ করো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে যখন প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেনÑ তার মানে হলো সকল কাজের কেন্দ্র বিন্দুতে রাখলেন গরিব মানুষকে। গরিবের উন্নতি করতে হবে।
গত ৯ বছরের দারিদ্র্য নিরসনে অনেক কাজ হয়েছে। ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৪ শতাংশ হয়েছি। হত দরিদ্রের ১২ শতাংশে কাছাকাছি চলে এসেছে বলে জানা এই সাবেক গর্ভনর। প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত লক্ষ্যে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ১০০ বক্তব্যে তারই প্রতিফলন ঘটবে। আতিউর বলেন, একেবারে যারা দরিদ্র তারা সাধারণ উন্নয়নের কর্মসূচির মধ্যে তাদের উপকার মুশকিল। তাদের উপকার করতে হলে বিশেষ কর্মসূচি প্রয়োজন। আর বিশেষ কর্মসূচি হলো- সামাজিক সুরক্ষা নীতি-বয়স্ক ভাতা, বিধাবা ভাতা ইত্যাদি।
একইসংগে আমাদের দারিদ্র্য বিমোচন টেকসই হবে না যদি আমাদের প্রবৃদ্ধি টেকসই না হয়। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে সব ক্ষেত্রেই কাজ করতে হবে। শিল্পে যেমন করতে হবে, কৃষিতে করতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন খাতেও করতে হবে। এই তিন খাতে গুরুত্ব দিতে হবে।
আতিউর বলেন, সম্প্রতি তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তা হলো মেঘা প্রজেক্ট। ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করার কাজে হাত দেয়া হয়েছে। এগুলো আবার করা হচ্ছে দেশের সুসম অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে। নীলফামারী, ঈশ্বরদী ইত্যাদি প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এর অর্থ হলো আশে-পাশের মানুষের কর্মসংস্থান ও সামাজিক জীবনের উন্নয়নের ছোঁয়া দেওয়া।
তিনি বিশেষ একটি উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করেন। সেটা হলো কর্মসংস্থান। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি কাজ করছেন। শিল্পায়ন ঘটাতে হলে বিদ্যুৎ দরকার। বিদ্যুৎ উৎপাদেনর জন্য তিনি ২০১০ সালেই আইন করেছেন। বেসরকারি যে কেউ বিদ্যুৎ উৎপাদনর করতে চাইলে তার পারবে-এটা বেসরকারি খাতে এগিয়ে আসার পথ সুগম করেছে। সম্পাদনা: আনিস রহমান