নেপালে অবস্থানরত ভুটানিজ শরণার্থীদের খাবারের বদলে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ডব্লিউএফপি
সাউথএশিয়ান মনিটর : নেপালে ভুটানের যে সব শরণার্থীরা অবস্থান করছে, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার বদলে অর্থ সহায়তা দেবে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লিউএফপি)। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের এই সংস্থা জানায়, শরণার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতেই এটা করা হচ্ছে। সাহায্য প্রার্থীদের পছন্দের প্রতি সম্মান দেখিয়েই এটা করা হচ্ছে। এতে করে নিজেদের পছন্দ মতো খাবার কিনে নিতে পারবে শরণার্থীরা।
এতদিন ‘বেসিক নিডস অ্যাপ্রোচ’ অনুসারে সাহায্য দেয়া হয়েছে। এ বছর সে নীতির পরিবর্তন করা হচ্ছে। পুরো ২০১৮ সাল জুড়েই ক্যাম্পে অবস্থানরত ভুটানিজ শরণার্থীদের সহায়তা দেবে সংস্থাটি। এই নীতি অনুসারে ইউনাইটেড নেশান্স হাই কমিশন ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর) যাদেরকে অসহায় হিসেবে চিহ্নিত করেছে (বয়স্ক, অক্ষম, অসহায় নারী প্রধান পরিবার), তাদেরকে পূর্ণ খাদ্য রেশনের সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হবে। অন্যান্য শরণার্থীদের চলতি রেশনের সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হবে।
প্রায় হাজার খানিক শরণার্থীদের পূর্ণ রেশনের সমপরিমাণ অর্থ (প্রতি মাসে জনপ্রতি ১৩ ডলার) সহায়তা দেবে ডব্লিউএফপি। এতে তারা স্থানীয় বাজার থেকে নিজেদের পছন্দ মতো খাবার কিনে নিতে পারবে। বাকি শরণার্থীদের সীমিত পরিমাণ রেশন- ১০ কেজি চালের সমপরিমাণ অর্থ (জনপ্রতি মাসে ৬.৫ ডলার) দেয়া হবে।
ডাব্লিউএফপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর পিপ্পা ব্র্যাডফোর্ড জানান, ২৫ বছর ধরে মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে এই সংস্থা। এ পর্যায়ে এসে খাদ্যের বদলে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে তারা। বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টা করছে ডব্লিউএফপি যাতে শরণার্থীদের পূর্ণ সহায়তা করা যায়। ডব্লিউএফপি এছাড়া সবজির বাগান করার জন্য চাষাবাদের যন্ত্রপাতি, বীজ এবং পরামর্শ সহায়তা দেবে। খাদ্যে সহায়তা করার পাশাপাশি শরণার্থীদের আত্মনির্ভর করে তুলতেই এ সহায়তা দেয়া হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ