কাবুলে আত্মঘাতি বোমাবাজ ও বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত অন্তত ৭
সাউথএশিয়ান মনিটর : ফের আত্মঘাতী হামলা হয়েছে আফগানিস্তানে রাজধানীতে। বুধবার (৯ মে) শহরের দুটি আলাদা অংশে দুই পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে দুই পুলিশকর্মী-সহ অন্তত সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরও সতেরো জন গুরুতর জখম হয়েছেন। এএফপি ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াইস আহমেদ বারমাক জানান, ‘মোট আটজন আত্মঘাতী বোমারু মিলে হামলা দুটি চালিয়েছে। একটি হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট এবং অপরটির তালিবান। প্রথম হামলাটি হয় কাবুলের পশ্চিমের দস্ত-ই-বার্চি এলাকার পিডি ১৩ পুলিশ সদর দফতরে। হামলাকারীরা হ্যান্ড গ্রেনেড ও গুলি ছুড়তে ছুড়তে ঢুকে পড়ে পুলিশ সদর দফতরে। দুজন আত্মঘাতি বোমায় নিজেদের উড়িয়ে দিলে ভবনটির একাংশে আগুন ধরে যায়। বারমাক জানান, ‘তৃতীয় এক আত্মঘাতী জঙ্গি বিস্ফারণ ঘটানোর আগেই পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। হামলায় দুই পুলিশও নিহত হয়েছেন।
এছাড়া জখম আরও দুই পুলিশকর্মী ও এক অসামরিক ব্যক্তি। আইএস-এর নিউজ এজেন্সি আমাক-এ এই হামলার কৃতিত্ব দাবি করেছে।
দ্বিতীয় হামলাটি হয় শহরের কেন্দ্রস্থলে, প্রথম হামলা হওযার এক ঘন্টার মধ্যেই। শাহর-এ-নওয় এলাকার পিডি ১০ পুলিশ সদর দফতরে হামলা চালায় তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী। প্রথমে এক আত্মঘাতী জঙ্গি পুলিশ স্টেশনের প্রবেশপথে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। এতে আরও চার জঙ্গির দফতরে ঢোকার পথ পরিষ্কার হয়ে যায়।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, আরও ‘দুই থেকে তিনজন’ সন্ত্রাসবাদী পাশের এক বিল্ডিংয়ে লুকিয়ে ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের তীব্র গুলি বিনিময় হয়। রাত পর্যন্ত ওই গুলি বিনিময় জারি থাকে।
জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াহিদ মাজরো, দ্বিতীয় হামলায় মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ষোল জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে এখনও হতাহতের সংখ্যাটা স্পষ্ট নয়, আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হামলার কারণে কাবুলের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে সব স্থান সাধারণত ব্যস্ত থাকে সেসব এলাকায় জনপ্রাণী ছিল না। কাবুলে প্রায় চার দশক ধরে যুদ্ধ চলছে। গত কয়েক বছরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল পরিস্থিতি। সামনেই সেদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা। আর তার ঠিক আগ দিয়েই একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলা চলছে। গত সপ্তাহে জঙ্গিরা নিশানা করেছে সাংবাদিকদেরও। এতে কাবুলবাসী বেশ উদ্বিগ্ন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ