সাংবাদিকদের ক্রেডেনশিয়াল বাতিলের হুমকি ট্রাম্পের
ইমরুল শাহেদ : নেতিবাচক প্রতিবেদনে ক্লান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সাংবাদিকদের ক্রেডেনশিয়াল বাতিল করে গণমাধ্যমের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে তিনি প্রস্তুত আছেন।
ট্রাম্প টুইট করে বলেছেন, ‘আমার বিষয়ে ভুয়া সংবাদ অনেক বেশি হারে হচ্ছে। আমার সময়ে দেশের অর্থনীতি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটা চমৎকার সাফল্য ৯১ শতাংশ নেটওয়র্ক নিউজই হচ্ছে নেতিবাচক (ভুয়া)।’
তিনি লিখেছেন, ‘তাহলে আমরা কেন গণমাধ্যমকে নিয়ে এতো কঠোর পরিশ্রম করব, যখন এটা দুর্নীতিগ্রস্ত? তাদের ক্রেডেনশিয়াল কেড়ে নেওয়া উচিত নয় কি?’ হোয়াইট হাউজ, সরকারি সংস্থা, কংগ্রেস এবং সুপ্রিম কোর্টে যেতে হলে এবং তা নিয়ে রিপোর্ট করতে হলে সাংবাদিকদের প্রেস ক্রেডেনশিয়ালস থাকতে হবে এবং তা দেখাতে হবে।
ট্রাম্প প্রায়ই গণমাধ্যমকে আক্রমণ করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে লেখালেখিগুলো কখনো তিনি না দেখার ভান করেছেন বা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
২০১৭ সালের এক টুইটে তিনি একটি ডিডিও যুক্ত করেন, যাতে তাকে বডি-সø্যামিং এবং ওয়ার্ল্ড রেস্টলিং এন্টারটেইনমেন্টে ঘুষাঘুষি করতে দেখা যায়। এই সময় তার মাথা সিএনএন’র লোগোতে ঢাকা ছিল।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি ফক্স নিউজ, দি ডেইলি কলার, নিউজম্যাক্স এবং সিনক্লেয়ার এবং ২০০ স্থানীয় টিভি স্টেশনকে প্রাধান্য দেন। সে সময় তিনি কমই স্টক মার্কেটের বাড়া-কমা, চাকরীর উপাত্ত এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে কদাচিৎই টুইট করেছেন, যা তার প্রশাসনের সাফল্যের সাক্ষ্য হতে পারে। তবে তিনি নিয়মিতই গণমাধ্যমকে ‘অসৎ’ বলে অভিহিত করে গেছেন এবং সমালোচনাও করে গেছেন – বলেছেন ‘ভুয়া সংবাদ।’
এছাড়া ক্ষমতার দ্বিতীয় বছরে তিনি হোয়াই হাউজ করেসপনডেন্টদের ডিনার পার্টিতে অনুপস্থিত থাকেন। কিন্তু এই ডিনার পার্টিতে ঐতিহ্যগতভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপস্থিত থাকেন।
তিনি ডিনার পার্টিকে সামনে রেখে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির তহবিল সংগ্রাহকদের বলেছেন, ‘যারা আমাকে পছন্দ করে না, ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করেন, তাদের সঙ্গে আমি কেন একসঙ্গে বসব।’ তবে ট্রাম্প এর আগে হোয়াইট হাউজ ডিনারে উপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি উপস্থিত ছিলেন একজন অতিথি হিসেবে। ট্রাম্প ২০১১ সালে রিয়ালিটি টিভি স্টার হিসেবে দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন যখন দেশটির প্রথম কৃঞ্চাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্ম সনদ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আলোচনা হচ্ছিল। ডন