বিশ্বনেতাদের অভিনন্দনে সিক্ত মাহাথির
লিহান লিমা: ১৫ বছর আগে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছিলেন জীবন্ত কিংবদন্তী মাহাথির বিন মোহাম্মদ। বুধবারের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী নাজিব রাজাককে হারানোর পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। দেশের সপ্তম এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়োজেষ্ঠ্য নেতা হিসেবে মাহাথির মালয়েশিয়ার দায়িত্ব গ্রহণের পর উল্লাস করে দেশটির নাগরিকরা। সেই সঙ্গে একের পর এক আসতে থাকে বিশ্বনেতাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা।
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি হেসিয়েন লুং বলেন, ‘মাহাথির ও তার দলের সফলতা কামনা করছি। আশা করি খুব শীঘ্রই তার সঙ্গে দেখা হবে।’
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান টুইটে বলেন, ‘নাজিব রাজাকের দুর্নীতিই ১৫ বছর পর মাহাথিরের ফিরে আসার মূল কারণ। মাহাথির ও মালয়েশিয়ার জনগণকে অভিনন্দন।’
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা বলেন, ‘মালয়েশিয়ার নাগরিকরা স্পষ্ট করে গিয়েছে, মাহাথিরের বয়স নয় তাদের তার নেতৃত্ব প্রয়োজন।’
মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ মাহাথির ও বিরোধী দলকে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান।
অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ডেন স্মিথ বলেনব, ‘৯২ বছরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে মাহাথির বিশ্বের সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ নেতার রেকর্ড গড়েছেন। তার প্রজ্ঞা, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাই মালয়েশিয়রা সহজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এর আগে ২২ বছর ধরে মালয়েশিয়াকে শাসন করেছিলেন মাহাথির। দীর্ঘ শাসনামলে মালয়েশিয়াকে জেলেদের দেশ থেকে গগনচুম্বি অট্টালিকার দেশে পরিণত করেছেন। পেয়েছেন ‘আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক’ হিসেবে সম্মাননা। নির্বাচনে তার সমালোচনা করার ক্ষেত্র্ওে সর্তক ছিল বিরোধী দল। ছয় দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা একটি দলকে পরাজিত করে মাহাথির দেখিয়েছেন, দলের জন্য ব্যক্তি নয়, ব্যক্তির জন্যই দল। এর আগে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে কঠোর পরিশ্রম ও অভাবনীয় উন্নয়ন করলেও পশ্চিমা দেশগুলো তার মিডিয়াকে দমন ও ভিন্নমতকে চাপা দেয়ার নীতিকে পছন্দ করে নি।