বাংলাদেশে ধর্ষণের পরিমান বাড়ছে
মুহাম্মাদ সফিকুল ইসলাম
নারীর ক্ষমতায়নে যদি নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, ধর্ষণ বন্ধ করা যেত তাহলে বাংলাদেশ হত ধর্ষণমুক্ত দেশ। অথচ এই দেশেই ধর্ষণের পরিমান লাগামহীন বেড়ে চলছে। একশ্রেণীর লোক আজ নারী ক্ষমতায়নের মাধ্যমে ধর্ষণ নিয়ন্ত্রণের অলীক স্বপ্ন দেখিয়ে দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মূলত এরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই মনগড়া মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বাংলাদেশকে যতদিন বস্তুবাদী রাজনৈতিক দল শাসন করবে। ততদিন ব্যাংকের টাকা লুট, ঘুষ, চুরি, দুর্নীতি, চলতে থাকবে। যতদিন জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের নীতিতে দেশ চলবে ততদিন খুন, গুম, ইভটিজিং, ধর্ষণ চলতে থাকবে। খবরের পাতায় ধর্ষণ, খুন, গুম এর সাথে এখন নতুন সংযোজন নবজাতক এখন অহরহ মিলছে নবজাতক রাস্তার পাশে, ময়লার স্তুপে, ডাস্টবিনে, ডোবায় ক্ষুধার্ত কুকুর টেনে ছিড়ে খাচ্ছে নবজাতক। আহ একটি মুসলিমপ্রধান দেশেও এই জঘণ্য কাজ না, আমি অবাক হইনি। কারণ, যে দেশে পশ্চিমা ভোগবাদী সংস্কৃতি বিকাশের চর্চা হয়, যে দেশে পশ্চিমাদের ন্যায় দুজনার সন্মতিতে যৌনমিলন বৈধ বলে বিবেচনা করা হয় যে, দেশে পশ্চিমাদের অনুকরণে ১৮+ নীতি বাস্তবায়ন করে অবৈধ প্রেমকে বৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যে দেশে নারী স্বাধীনতা, সম-অধিকার বলে শ্লোগান তোলা হয় যে দেশে আল্লাহর নীতি বাদ দিয়ে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা করা হয় সে দেশে এমন ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক, অবাক হওয়ার কিছু নাই। আমরা যাদের অনুসরণ, অনুকরণ করি, যাদের নীতি বাস্তবায়ন করছি তাদের পরিসংখ্যান জানা দরকার। বিশ্বে শীর্ষ ধর্ষণের দেশ যুক্তরাষ্ট্র ৯১%, তারপরের তালিকায় আছেযুক্তরাজ্য, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত। শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে মুসলিম দেশ নাই। তবে আমরা তাদের পথেই ধাবিত হচ্ছি। আজ আমরা পশ্চিমা সংস্কৃতির অশুভ প্রভাবে অশান্তির দাবানলে জ্বলছি।
পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
এই কড়াল গ্রাস থেকে বাঁচাতে এখনি যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে। পশ্চিমা সংস্কৃতি পরিহার করি ইসলামী সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। এক সমাজ কর্মী বলছে সামাজিক ও নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণে এমনটা ঘটছে। সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ কি? তা এই সমাজ কর্মীর জানা আছে সমাজকে নিমন্ত্রণ করে রাষ্ট্রীয় নীতি। আর আমাদের রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে মানব রচিত তন্ত্র-মন্ত্র দিয়ে। সামাজিক অবক্ষয় থেকে মুক্ত করতে ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই। আমরা আর কোন শিশুকে ধর্ষণ হতে দিতে চাই না আমরা দেশটাকে ধর্ষকের অভয়ারণ্য হতে দিতে চাই না। আমরা দেশে ধর্ষনকামী যুব সমাজ চাই না। তাই মানব রচিত বিধান ত্যাগ করে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠিত করাই একমাত্র লক্ষ্য। ক্ষুধার্ত কুকুর টেনে-ছিড়ে খাওয়ার প্রতিযোগিতায় মেতেছে ঐ রাস্তার পাশে পরে থাকা মৃত নবজাতক শিশু এ যেন আধুনিক জাহেলিয়াত। ১৮+ এর আগে বিবাহ করতে আইনি বাধা কিন্তু প্রেম করে লিব টুগেদারে বাধা নেই। ইসলাম সারে ১৪ শত বছর পুরানো সেকেলের ধর্ম আধুনিক কালে যায় না। তাই বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে পশ্চিমা সংস্কৃতির আমদানি। ভাইয়া, স্বাধীনতার পর থেকে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, নারীবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, নারী স্বাধিনতা, চুরি-বাটপারি, লুটপাট, ধর্ষণ, সবইতো হয়েছে এবার ইসলামের দিকে ফিরে আসুন। ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন। মরাতো লাগবেই আল্লাহর কাছে জবাব দেবেন কি? আপনি হয়তো ভাবছেন ঐ নোংরা কাজ আমিতো করিনি আমি দায় মুক্ত। না ভাইয়া, এই পাপের দায়-ভার আপনাকেও বহন করতে হবে। কারন আপনার ভোটে ক্ষমতায় গিয়ে ইসলাম বিরুধী আইন পাশ করেছে।