মাদক মরণব্যাধি,আত্মহননের কুৎসিত একটি পথ;
আফনান তুহিন
মাদক একটি মরণব্যাধি আত্মহননের অসৎ এবং কুৎসিত একটি পথ। সাময়িকভাবে মাদক সেবনে উন্মাদনা এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এর পরিণতি কতটা নির্মম এবং ভয়াবহ তা কেবল ভুক্ত ভোগীরাই জানে। প্রথম প্রথম মাদক সেবীরা মনে করে, মাদক সেবনের মাধ্যমে জীবন হয় আনন্দের এবং নিজেকে রাজকীয় আসনের ব্যক্তি মনে করে। ধীরে ধীরে মাদকাসক্তরা মাদকাসক্তির পথে চলে যেতে বাধ্য হয়। তখন কুৎসিত এবং মারাত্মক পথ থেকে ফেরা খুবই কঠিন। আমাদের কেন্দ্রীয় ¯œায়ুতন্ত্র মাদকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন প্রকার শারীরিক-মানসিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ফলে, মাদক সেবনে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে এটা দৈনিক সেবনের একটি নেশা হিসেবে গড়ে উঠে। মাদক সেবনে আসক্ত ব্যক্তিদেরকে মাদকদ্রব্য কুড়ে কুড়ে খেয়ে ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে নিয়ে যায়। মাদক সেবীর জীবনের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়। জ্ঞান বুদ্ধিহীন পঙ্গু ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে পরিণত করে। জীবন হয় দুর্বিষহ। নেমে আসে জীবনে অন্ধকার, কুয়াশাচ্ছন্ন এক আত্মঘাতিক মূলক জীবন প্রবাহ। এ ব্যাধি শুধু মাদকাসক্ত ব্যক্তির একার নয়। এটা সারা পরিবার এবং সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকে কলুষিত করে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজের ধ্বংসের পথ প্রশস্ত হয়। মাদকের কারণে প্রচুর অর্থ ব্যয়ে পিছু নেয় অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা। পরবর্তীতে এ সমস্যার কারণে সামাজিক, পারিবারিক এমনকি রাষ্ট্রীয় সমস্যায় পরিণত হয়। এ সমস্যা মানব সম্পদসহ সামাজিক উন্নয়নকেও বাধাগ্রস্ত করে । সমাজ থেকে মাদকাসক্তি দূর করতে পরিবারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি পরিবারে সচেতনতা, ভালবাসা, দৃঢ় অঙ্গীকার ও সক্রিয় ভূমিকা মাদকাসক্তি নামক বিভীষিকাকে কঠোরভাবে করবে প্রতিরোধ। একই সাথে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং পরিবার, সমাজ এবং সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে সমাজের সর্বস্তরে গণ-সচেতনতা মূলক আন্দোলনের মাধ্যমে একটি সুন্দর জাতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।
পরিচিতি : ছাত্র, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ