ঈশ্বরদীতে ৫ শতাধিক চাতাল কল বন্ধ
সেলিম আহমেদ, ঈশ্বরদী (পাবনা) : বাজারের অস্থিরতায় বন্ধ হয়ে গেছে ঈশ্বরদীর বেশির ভাগ চাতাল কল। ছোট বড় মিলিয়ে এখানের ৬৫০টি চাতাল কলের সচল রয়েছে মাত্র ৮০টি। ধান সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরেই সংকটে পড়েছে ঈশ্বরদীর চালকলগুলোর উৎপাদন। একদিকে বেড়েছে চালের দাম, কমেছে বেচাকেনা। চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ পড়েছে মহাবিপাকে। অপরদিকে, বাজারের এই অস্থিরতায় বেশির ভাগ চাতালকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভোক্তা সাধারণেরই ওপর। ঈশ্বরদী উপজেলা চাল ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আলহাজ খায়রুল ইসলাম জানান, ঈশ্বরদীর মোকামে ছোট বড় মিলিয়ে চাতাল কলের সংখ্যা ৬৫০। অথচ ধান সঙ্কটের কারণে এ মৌসুমে সচল রয়েছে মাত্র ৮০টি। সরকারি গুদামে যে আপদকালীন মজুদ সেটার অবস্থা খুবই নাজুক। আর সেই সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি বা মিল মালিক।
সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় ধান সংগ্রহে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ক , এখন ধান কিনে চাল তৈরির পর তা বিক্রি করতে গেলে লাভের বদলে ট্রাকপ্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। ধান সঙ্কট তো আছেই। যে কারণে চালের মোকামে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
চাতাল মালিকরা জানান, মোকামে ক্রেতাশূন্য অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। চালু চাতালগুলোতে যা চাল উৎপাদন হচ্ছে, তাও বিক্রি হচ্ছে না বললেই চলে। চাল ক্রেতার অভাবে বেশির ভাগ চালই অবিক্রিত পড়ে থাকছে।
উপজেলা ধান-চাল ব্যবসায়ী সমিতির হিসাব অনুযায়ী মিনিকেট, বিআর-২৮, বিআর-২৯, পারিজা, নতুন গুটি স্বর্ণা, বিনা-৭ ও বিআর-৩৯ চালসহ এ মোকামে উৎপাদিত সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক ভাবে।
উপজেলা ধান-চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মোল্লা জানান, বাজারে ধানের দামের সঙ্গে চালের বাজার মূল্যের সামঞ্জস্য না থাকায় ঈশ্বরদী মোকামে উৎপাদিত চালের মূল্য বাড়ছে। তিনি জানান, বর্তমানে ঈশ্বরদী মোকামের মিলগুলো বন্ধ থাকায় বিভিন্ন চালের আড়তে থাকা চালগুলো বিক্রি করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যবসায়িদের।