পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও বেড়ছে পেঁয়াজ, রসুন, চিনির দাম রমজানে আরো বাড়ার আশংকা
স্বপ্না চক্রবর্তী: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দাবিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ থাকলেও রমজানকে সামনে রেখে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও চিনির দাম। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবেই গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ, রসুন ও চিনির দাম বেড়েছে। রমজান শুরু হওয়ার আগেই এ অবস্থা থাকলে রমজানে এসব পণ্যের মূল্য আরো বাড়ার আশংকা করছেন ভোক্তারা। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে মাঠে নামছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার, নিউমার্কেট, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, সেগুনবাগিজা, মগবাজার এবং শান্তিনগর এলাকার বিভিন্ন বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় পেঁয়াজ, রসুন, চিনি ও শুকনা মরিচের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি যেমন বেগুন, পেঁপে, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, করলা, পটল, ঢেরস, বরবটি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। টিসিবির হিসাবে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে দেশি ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ছিলো যথাক্রমে ৩৮ থেকে ৪৫টাকা ৩০ থেকে ৩৫টাকা। প্রতি কেজি শুকনা মরিচের দাম ১০টাকা বেড়ে ১৭০ থেকে ২০০টাকা বিক্রি হচ্ছে। চিনির দাম ১০টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০টাকা। মগবাজারের মুদি ব্যবসায়ী আলমাস হোসেন সোহান বলেন, পাইকারি কিনার সময় বেশি দামে কিনতে হয় তাই খুচরা বিক্রয়মূল্য বাড়াতে বাধ্য হই আমরা। বেড়েছে বয়লার মুরগির দামও। বাজার ভেদে সাদা বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আর গত সপ্তাহে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া লাল কক মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গার দাম বেড়ে ৬০-৭০ টাকা হয়েছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ধুন্দল। গত দুই সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া পেঁপের দাম এখনও চড়াই আছে। তবে বেগুন ও কাকরলের দাম কিছুটা কমেছে। বাজার ও মান ভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে যা গত সপ্তাহে ৮০ টাকা। আর ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাকরলের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। দাম কমেছে ডিমেরও। গতকাল মগবাজার এলাকায় ডজনপ্রতি ডিম ৮০টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দাম। ৩৫-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিত্যপণ্যের অবৈধ মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি মনিটরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ মন্ত্রণালয়ের ১৪টি টি বাজারে নজরদারি করবে। রমজানে কারসাজি করে পণ্যের দাম বাড়ালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।