স্কুল কমিটি নিয়ে উত্তেজনা সংঘর্ষের আশঙ্কা
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার রামপুর স্কুৃলের গভর্ণিং বডির কমিটি নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে স্থানীয় একটি মন্দিরে হট্টগোলের পর এর দায়ভার পুলিশের এক সদস্যের বিরুদ্ধে চাপানোর চেস্টার অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় যেকোন সময় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গভর্ণিং বডির নতুন কমিটি নির্বাচন হয়েছে। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জামিল সভাপতি নির্বাচিত হন। আর স্থানীয় বাসিন্দা পরাজিত হন শান্তি রঞ্জন দাস। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চাপা উত্তেজনা চলছিল। সম্প্রতি স্কুলের শিক্ষক বিমল চন্দ্র দাস ও উত্তম সরকার নেহারুর মধ্যে রামকৃষ্ণ মন্দিরে বাক বিত-া হয়। তাৎক্ষণিক মন্দির কমিটির নেতারা বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। কিন্তু বিমলকে নিয়ে একটি পক্ষ রাজনীতি শুরু করেন। তারা এ বিচার না মেনে বিষয়টি স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ‘ওই শিক্ষককে মারধর করা হয়েছে’ এমন বুঝিয়ে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ মানব বন্ধনে স্থানীয় চেয়ারম্যান জামিলও উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়। কিন্তু সংবাদে ঘটনার সময় উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা হরিদাস নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার কথা উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও তার ভাই পুলিশ সদস্য পিন্টু চন্দ্র দাসের কথাও বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে বিমল চন্দ্র দাস ও পিন্টু দাস কেউই ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেননা।
মন্দির কমিটির সভাপতি ডা. বিনয় দাস বলেন, মিমাংসিত একটি ঘটনা আবারও চড়াও করার চেষ্টা করছে একটি মহল। স্থানীয় চেয়ারম্যানের ভুমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি বলেন, মন্দিরের ঘটান স্কুলের শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানব বন্ধন করার প্রয়োজন ছিলনা। এছাড়া যা নিয়ে কুৎসা রটানো হচ্ছে তা সঠিক নয়। এছাড়াও শপু ব্যাপারী, গিয়াস উদ্দিনসহ একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান জামিল এ বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে। মিমাংসা হলেও জামিল শিক্ষার্থীদের বাধ্য করেছে মানব বন্ধনে অংশ নিতে। তারা জানান, শান্ত বণিক নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা এসব ঘটনার পেছনে চাবিকাঠি নাড়ছে। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বিভ্রান্তিমুলক তথ্য দিয়ে এলাকার সন্মান ক্ষুন্ন করছে। স্থানীয় একটি পত্রিকায়ও নানা মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এছাড়াও খিদিরপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আব্দুস সালাম খোকন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব সজিবও একই অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে খিদিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জামিল বলেন, মারধরের ঘটনার পর শিক্ষক বিমল দাস আমার কাছে র্লিখিত অভিযোগ করেন। পরে তাদের বিচারে বসার জন্য একটি নোটিশ পাঠানো হয়। এবং থানায়ও অভিযোগ করা হয়। তিনি বলেন, আমার পাঠানো নোটিশ তারা গ্রহণ করলেও আলোচনা করতে আসেননি উত্তমরা। এরপরদিন স্কুলের শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন করে। রামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক তানভীর আহমদ জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিলে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়া হবে।