বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নৌপথে যাত্রী পরিবহন চুক্তি হচ্ছে
মাছুম বিল্লাহ: সড়ক, রেল ও আকাশপথের পর এবার নৌপথে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রী চলাচল শুরু হচ্ছে। এ জন্য দু’দেশের মধ্যে নৌপথে যাত্রী পরিবহনে একটি চুক্তি সই হতে যাচ্ছে। আগামী ২৩ মে এ ধরণের একটি চুক্তি সই হতে পারে বলে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় সূত্রে জানাগেছে।
সূত্রটি জানায়, এ চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে চালু হবে নৌপথে যাত্রী পরিবহন সেবা। বিশেষ করে পর্যটকদের যাতায়াত আরও আকর্ষণীয় করতে দুই দেশের সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। এখন চুক্তি হলেই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাতায়াতের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
নৌ পরিবহন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে নৌপথে যাত্রী পরিবহন নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। এরপর ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। কিন্তু কী কী নিয়ম-কানুনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের নৌযানগুলো চলাচল করবে (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) তা নির্ধারণ না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি দুই দেশ এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর নির্ধারণ করেছে।
সূত্রের খবর, আগামী ২৩ মে মুম্বাইয়ে এ চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। এ চুক্তিতে দুই দেশে আটটি করে পোর্ট অব কল (যেখানে যাত্রী ওঠানো-নামানো যাবে) আছে। বাংলাদেশের বন্দরগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম, মোংলা, খুলনা, পায়রা, নারায়ণগঞ্জ, পানগাঁও, আশুগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ নদীবন্দর। আর ভারতের চেন্নাই, ধুবড়ী, শিলঘাট, পান্ডু, প্যারাদ্বীপ, হলদিয়া, কলকাতা ও করিমগঞ্জ নদীবন্দর। আটটি নৌপথও (রুট) নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভ্রমণে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিক ভিসা নিয়ে এই পথে ভারতে যেতে পারবেন। আবার ভারতের নাগরিকরাও ভিসা নিয়ে এসব পথে বাংলাদেশে আসতে পারবেন। বর্তমানে সড়ক, রেল ও আকাশপথে দুই দেশের জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকেন। নৌপথে শুধু বাণিজ্যিক যানবাহন যাতায়াত করে।