রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু
সুশান্ত সাহা: রাজধানীর গতকাল শনিবার পৃথক ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রিয়াজ নামের এক নির্মাণ শ্রমিক, সবুজবাগে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আবদুল্লাহ নামের এক চালক, বংশালে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে আবুল কাশেম নামের এক শ্রমিক ও দক্ষিণ শাহাজানপুরে বিষপানে ইসমাইল নামের এক যুবক।
গতকাল তাদের উদ্ধার করে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি মর্গে পাঠায় পুলিশ ।
মৃত রিয়াজের সহকর্মী শাহাবুদ্দিন জানান, বেলা ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ী ধলপুর এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবন ৪তলায় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় একটি রড ভবনের পাশে থাকা বিদ্যুতের তার লাগে। এতে নুরু মিয়া ও রিয়াজ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে রিয়াজের মৃত্যু হয়।
সবুজবাগ থানার এসআই জহুরুল ইসলাম জানান, ভোর রাতে নিজের অটোরিকশা চালিয়ে বাসায় ফিরছিলেন আবদুল্লাহ। পথে সবুজবাগ বাসাবো বৌদ্ধমন্দির সংলগ্ন বিশ্বরোড এলাকায় পৌঁছালে অটোরিকশাটি সড়কদ্বীপের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। রাত ৩টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়। নিহত আবদুল্লাহ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকতেন। তারা বাবার নাম হজরত মাস্টার।
অপর দুর্ঘটনায় নিহত কাশেমের সহকর্মী আবদুর রশিদ বলেন, শনিবার সকালে একটি চারতলা ভবনের দোতলায় কাজ করার সময় নিচে পড়ে যান কাশেম। তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে দুপরে তার মৃত্যু হয়।
কাশেম চাদপুর হাইমচর বাগরপুর গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে। তিনি রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় থাকতেন।
এছাড়া, নিহত ইসমাইলের বড় ভাই জমির আলী বলেন, ইসমাইল দক্ষিণ শাহাজানপুর রেলওয়ে কলোনির টেনা বস্তিতে পরিবার নিয়ে থাকতেন। সকালে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। ইসমাইল নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার উপজেলার আবদুর রশিদের ছেলে। সম্পাদনা: আনিস রহমান