চীনগামী সমুদ্র রুটে স্থায়ীভাবে টহল দেবে ভারতীয় নৌবাহিনী
সাউথ এশিয়ান মনিটর: মূল ভারত থেকে অনেক দূরে বঙ্গোপসাগরে একটি সামরিক খেলা হতে যাচ্ছে। ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা পূর্ব প্রান্তে (পড়ুন চীন) চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে নৌবাহিনী মোতায়েন করবে। বর্তমানে আন্দামান ও নিকোবর আইল্যান্ডে মোতায়েন সুখোই-৩০ জঙ্গি বিমান দ্রুততার সাথে ওই এলাকার ওপর টহল দিতে পারবে।
শীর্ষস্থানীয় সূত্র দি ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, চলমান নৌবাহিনী কমান্ডারদের সম্মেলনে মিশনভিত্তিক মোতায়েনের দর্শন পর্যালোচনা করা হয়েছে। এসব টহল এখন স্থায়ীভিত্তিতে হবে বলে নৌবাহিনীর এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত বছরের জুলাইয়ে নৌবাহিনী এই মিশনভিত্তিক মোতায়েন শুরু করেছিল। তাদের দায়িত্ব ছিল বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকোবর আইল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্টের জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ করা।
এরপর থেকে সান্ডা, ল্যামবক ও ওমবাই ওয়াটারে টহলদান শুরু হয়েছে। এসব প্রণালী ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরের মধ্যে সংযোগ সাধন করেছে। মালাক্কা প্রণালী দিয়েই বিশ্বের ৭০ ভাগ বাণিজ্য ও জ্বালানি পণ্য পরিবহন করা হয়ে থাকে। চীনের আগ্রাসী অবস্থান মোকাবিলায় ক্যাম্বেল বে, কার নিকোবর ও পোর্ট ব্লেয়ারকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে ১৯টি রণতরী ও দুটি ভাসমান ডক মোতায়েন করা হয়েছে। এর ফলে বিশাখাপত্তম থেকে সেখানে পৌঁছানোর জন্য ১২ শ’ কিলোমিটার (তিন দিনের চলাচল) পথ বেঁচে গেছে।
এই পানিপথে কেবল রণতরীই নয়, জঙ্গিবিমানও মোতায়েন করা হচ্ছে। এগুলো প্রয়োজনে দক্ষিণ চীন সাগর পর্যন্ত উড়ে যাবে। ভারতীয় নৌবাহিনী ২০২০ সাল নাগাদ ভারত মহাসাগরে প্রাধান্য বিস্তার করার পরিকল্পনা করছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, চীনের প্রায় ৮০ ভাগ তেল আমদানি করা হয় মালাক্কা প্রণালী দিয়ে। এই প্রণালী দিয়ে তাদের ১১ ভাগ প্রাকৃতিক গ্যাসও আমদানি করা হয়ে থাকে।