তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশ
স্বপ্না চক্রবর্তী: বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় খাত গার্মেন্টেসের রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০মাসে (জুলাই-এপ্রিল) তৈরি পোশাকের রফতানি থেকে আয় হয়েছে ২ হাজার ৫৩০ কোটি ৫৫ লাখ (২৫দশমিক ৩০বিলিয়ন) ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি। রপ্তানি বৃদ্ধির এই ধারাকে গার্মেন্টস খাতের জন্য ইতিবাচক হিসেবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি রানা প্লাজাসহ অন্যান দুর্ঘটনার বলয় থেকে বেড়িয়ে বিশ্ববাজের নিজেদের ইমেজ ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প।
সম্প্রতি রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কর্তৃক রফতানি আয়ের হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বাংলাদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন পণ্যের রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ৪০কোটি ৬৪ লাখ (৩০ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে। এতে করে জুলাই-এপ্রিল সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৮৩দশমিক ২২শতাংশ এসেছে পোশাক খাত থেকে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩দশমিক ১৭শতাংশ বেশি রপ্তানি অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।
গতবছর এই সময় যেখানে গ্রোথ ছিল না, সেখানে ১ বছুরের মধ্যে এই উন্নতি আশাতীত। এই ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারসহ গার্মেন্টস শিল্পের সাথে জড়িত সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
ইপিবি’র তথ্যে আরো জানা যায়, রপ্তানিকৃত পোশাকের মধ্যে নিটওয়্যার খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ১হাজার ২৫৪কোটি ১১লাখ ডলার এবং উভেন পোশাক রফতানিতে আয় হয়েছে ১হাজার ২৭৬কোটি ৫২লাখ ডলার। জানা গেছে, এই দশ মাসে নিট খাতে রফতানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর উভেনে বেড়েছে ছয় দশমিক ৪২ শতাংশ। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর দেশের গার্মেন্টস খাতের ইমেজ ফিরিয়ে আনতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ যৌথভাবে বিভিন্ন ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পোশাক শিল্প মালিকদের অপর সংগঠন বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মনসুর আহমদ। তিনি বলেন, বিদেশী ক্রেতাদের সাথে আমরা বিভিন্ন সময় যোগাযোগ, মিটিং, সভা সেমিনার করেছি। তাদেরকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সম্পর্কে ইতিবাচত ধারণা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। সম্পাদনা: আনিস রহমান