সৌদি যুবরাজের সঙ্গে প্রেম ছিল ট্রাম্প-পুত্রবধূর!
আরটিএনএন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রকে বিয়ের আগে এক সৌদি যুবরাজের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছিলেন ভেনেসা ট্রাম্প। এমনকি তারা বিয়েও করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর সব বদলে যায়। সৌদি যুবরাজকে বাধ্য হয়েই ফিরে যেতে হয় নিজ দেশে। ফলে আর সফল পরিণয়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি এই জুটির। সৌদি যুবরাজ খালিদ বিন বদর বিন সুলতান আলসৌদের সঙ্গে তিন বছর প্রেম করেছেন ভেনেসা। একসঙ্গেই থাকতেন তারা। বিয়ের পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু ৯/১১ হামলা এই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে দেয়নি। কারণ যুবরাজের বাবা বদর বিন সুলতান আলসৌদের সঙ্গে আল-কায়েদার পরোক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে খবর প্রকাশ হয়েছিল সে সময়।
সিএনএনে প্রকাশিত ওই খবরের পরই যুবরাজ ফিরে যান নিজ দেশে। ভেঙে যায় ভেনেসার আরেকটি প্রেম। যুবরাজের সঙ্গে প্রণয়ে জড়ানোর আগে ভেনেসার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ল্যাটিন কিং ভ্যালেন্টাইন রিভেরা ও লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর।
এ সম্পর্কে জানে এমন এক সূত্রের বরাত দিয়ে পেজ সিক্স জানায়, ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যুবরাজ খালিদ বিন বদরের সঙ্গে প্রেম করেছেন ভেনেসা। এ সময় তারা একসঙ্গেই থাকতেন। কিন্তু ৯/১১ হামলার পর ভেনেসাকে রেখে সৌদি আরব ফিরে যান যুবরাজ। তাদের মধ্যে বেশ গভীর সম্পর্ক ছিল। এমনকি বিয়ের পরিকল্পনাও ছিল তাদের। কিন্তু টুইন টাওয়ার হামলা এই পরিকল্পনাকে ভেস্তে দেয়।
ভেনেসা ও খালিদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে জানা যায় না। কারণ ৯/১১ হামলার পর খালিদ দেশে ফিরলেও আমেরিকাতেই থেকে যান তার বাবা বদর বিন সুলতান। সৌদি রাজপরিবারের প্রভাবশালী এই ব্যক্তি ১৯৮৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় সৌদি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশেরও খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এ কারণে টুইন টাওয়ার হামলার দায় স্বীকার করা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার সঙ্গে তার পরোক্ষ সংশ্লেষের বিষয়ে খবর প্রকাশ হলেও আমেরিকায় দায়িত্ব পালনে তাকে কোনো সংকটের মুখে পড়তে হয়নি। অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি। সে সময় এ বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, ‘সৌদি আরবের লুকোনোর কিছু নেই। ৯/১১ আমাদের সবার জন্যই ভয়াবহ এক ঘটনা।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ