শেয়ারবাজারে টানা ১০ কার্যদিবস ধরে দরপতন
মাসুদ মিয়া: দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন আর লেনদেন খরায় অনেকটাই নিষ্প্রাণ হয়ে পড়েছে। শেয়ারবাজারের প্রান ফিরে পাচ্ছে না হতাশায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এই নিয়ে টানা ১০ কার্যদিবস ধরে দরপতন অব্যাহত। এদিকে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুরোর জন্য সরকারের দেয়া বিশেষ সুবিধা এবং ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জেকে পাওয়ার মতো সুখবরেও প্রাণ ফিরছে না বাজারে।
ক্রমগত দরপতনে একটু একটু করে পুঁজি কমছে বিনিয়োগকারীদের। ফলে আবারও পুঁজি হারানোর সঙ্কায় ভুগছেন বিনিয়োগকারীরা। কেউ কেউ দরপতনকে বিনিয়োগকারীদের রক্ত ক্ষরণ হিসেবে উল্লেখ করছেন। পুঁজি হারানোর শঙ্কার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকটও ভর করেছে। টানা দরপতনের মধ্যে দেশের শেয়ারবাজারে রোববার লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে পৌছেছে। পরের দুই কার্যদিবসেও সেই লেনদেন খরা অব্যহত রয়েছে। ফলে ডিএসইতে দেড় মাসের ব্যবধানে সর্বনিন্ম লেনদেন হয়েছে।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত কয়েক কার্যদিবসের মতো মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা ১০ কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকল শেয়ারবাজার।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৫২টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৯টির। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৩০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ২৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩০০ পয়েন্টে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ১৪ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৮টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ১২১টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।