মানহীন পণ্য ও পানীয় রমজান ঘিরে ৬২ প্রতিষ্ঠান ও কারখানা সিলগালা
স্বপ্না চক্রবর্তী: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর মানদ-ে ১৫টি পণ্য ও ২১টি প্রতিষ্ঠান মানহীন প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এছাড়া, পবিত্র রমজান মাসে নগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ২৬টি অপরিশোধিত পানির কারখানা সিলগালা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে নির্ভেজাল খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইফতার ও সেহরিতে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত ২৪ ধরনের খাদ্য পণ্যের মোট ২৮৬টি নমুনা আগাম সংগ্রহ করে বিএসটিআইয়ের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৭৫টি নমুনার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ১৩৯টি নমুনা কৃতকার্য এবং ৩৬টি অকৃতকার্য হয়েছে। বাকি ১১১টি নমুনা পরীক্ষাধীন রয়েছে বলে জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান নমুনা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মন্ত্রী আরো বলেন, সম্প্রতি যত্রতত্র অপরিশোধিত পানি জারভর্তি করে বিক্রয় করা হচ্ছে। রমজানে নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ১৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়েছে।
পুরো রমজান জুড়ে নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও মন্ত্রী জানান।
এসময় বিএসটিআইয়ের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এস এম ইসাহাক আলি অকৃতকার্য পণ্যগুলো নাম তুলে ধরেন। বিএসটিআইয়ের মানদন্ডে মানহীন পণ্যগুলো হচ্ছে- ড্যানিশ লাচ্ছা সেমাই, বগুড়া স্পেশাল ঘি, অরিজিনাল বাঘাবাড়ি ঘি, আফতাব মিল্ক, ঢাকা প্রাইম পাস্তুরিত দুধ, ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক (পাস্তুরিত দুধ), ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল- কোড-ডি (ট্রাম), ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল-কোড-জি (ড্রাম), ফার্টিফাইড পাম অলিন-কোড-এইচ (ড্রাম), ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল-কোড-আই (ড্রাম), ফার্টিফাইড পাম অলিন-কোড-জে (ড্রাম),ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল- কোড-কে (ড্রাম), ফার্টিফাইড পাম অলিন-কোড-এল (ড্রাম), ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল-কোড-এম (ড্রাম), ফার্টিফাইড সয়াবিন তেল-কোড-পি (ড্রাম)।
এছাড়া ২১টি কারখানায় আকস্মিক অভিযান চালিয়ে সেসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্যে মান ঠিক নাই বলে জানান ইসাহাক আলি। সম্পাদনা: আনিস রহমান