ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক বাতিলের হুঁশিয়ারি উ. কোরিয়ার
সান্দ্রা নন্দিনী: বহুল প্রতিক্ষিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের আসন্ন বৈঠক নিয়ে অনিশ্চিয়তার সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর কোরিয়া সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি পারমাণবিক অস্ত্র নষ্ট করে ফেলার জন্য তাদের ওপর চাপ দেয় তাহলে তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসবে না। আগামী ১২জুন সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক এ বৈঠকটি হওয়ার কথা।
ইতিমধ্যে মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার অভিযোগ তুলে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে গতকালের বুধবারের উচ্চপর্যায়ের আন্তঃকোরীয় বৈঠকটি বাতিলের ঘোষণা দেয় পিয়ংইয়ং।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী পানমুনজমে অনুষ্ঠিত আন্তঃকোরীয় সংলাপে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণে নিজেদের সম্মতির কথা জানায় উত্তর কোরিয়া। পরবর্তীতে, রাষ্ট্রীয় কোরিয়া সেন্ট্রাল নিউজ এজন্সি-কেসিএনএ শনিবার এক খবরে জানায়, পাংগাই-রি পরমাণু পরীক্ষাকেন্দ্র আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে মে মাসের ২৩ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে ধ্বংস করা হবে। এই পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে ওই কেন্দ্রের সব গবেষণা ভবন, পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ও নিরাপত্তা চৌকি ধ্বংস করে দেওয়া।
অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট কিম কায়ে গোয়ানও বুধবার জানান, যুক্তরাষ্ট্র যদি একপেশে জোর খাটিয়ে আমাদেরকে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ করতে চায়, তবে ট্রাম্প-কিম বৈঠক নিয়ে আবারও ভাববে উত্তর কোরিয়া। এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী কিম গিয়ে-গুয়ান আমেরিকার বিরুদ্ধে অশুভ অভিপ্রায়ের এবং দায়িত্বহীন বিবৃতি দেবার অভিযোগ করেছেন।
তিনি এজন্য সরাসরি দায়ী করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে।
জন বোল্টন রোববার বলেছিলেন উত্তর কোরিয়া “লিবিয়া মডেল’’ অনুসরণ করতে পারে যেখানে দেশটি যে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত হয়েছে তা যাচাইযোগ্য হবে।
বিবিসির সংবাদদাতা লরা বিকার বলছেন, উত্তর কোরিয়া বহুদিন থেকেই বলে আসছে রাষ্ট্র হিসাবে টিকে থাকার জন্য তাদের পারমাণবিক অস্ত্র থাকা অত্যাবশ্যক। এখন দেশটি তাদের সেই দাবি আরও স্পষ্ট করছে।