দৌলতখানে চিংড়ি রেণু সংগ্রহের নামে পোনা নিধন
মামুন হাওলাদার, দৌলতখান ( ভোলা) : ভোলার দৌলতখান উপজেলা মেঘনায় প্রতিনিয়ত বাগদা ও গলদা চিংড়ি রেণু সংগ্রহের নামে অবাধে নিধন হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। এতে অন্যান্য প্রজাতির মাছসহ জলজ প্রাণির ক্ষতির প্রভাব প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন বয়সের লোকজন দলবেঁধে রেণু সংগ্রহ করছে।
প্রতিটি দলে রয়েছে ৮- ১০ জন। এদের অনেকের কমরে রয়েছে বালতি ও হারি। সিজনাল জেলেরা মেঘনায় কয়েক বার মশারি-ঠেলা জাল টানার পর ডাঙ্গায় উঠে আসে। পরে জালের কোণায় জমানো উঠে আসা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা জলজপ্রাণী ও চিংড়ির রেণু বড় তালা বা বাসনে রাখা হয়। পরে বেছে বেছে আলাদা করা হয় বাগদা-গোলদার পোনা। আলাদা করা শেষ হলে অবশিষ্ট মাছের পোনা ও জলজপ্রাণীসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা শুকনা মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। এভাবে মেঘনায় প্রতিনিয়ত বাগদা-গোলদা চিংড়ি আহরণের নামে অবাধে নিধন হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাসহ জলজপ্রাণী। দৌলতখান, মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। তবে জেলেরা জানান আড়তদাররা তাদের ভিবিন্ন সময় দাদন হিসেবে টাকা দিয়ে থাকে সেই টাকা পরিষদ করতে জেলেরা মেঘনায় চিংড়ির রেনু শিকার করতে যায় এবং প্রতিটি চিংড়ির রেণু ১ থেকে ২ টাকা বিক্রি করেন। এতে আড়তদাররা জেলেদের পাইকারি বাজারের তুলনায় টাকা কম দেন বলে জানান জেলে ইউসুফ, শাহাবুউদ্দিনসহ আরো অনেকে । অন্যদিকে দেখা যায় হকাররা রাতের আদারে ড্রামে করে চিংড়ির রেণু প্রতিনিয়ত খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন যায়গায় পাঠাচ্ছে । প্রতিটি ড্রামে ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার চিংড়ির পোনা থাকে।
এ ব্যাপারে দৌলতখান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান রিগেন জানান, একটি বাগদা ও গলদা চিংড়ি রেনু আহরণ করার সময় ৪০ থেকে ৫০ প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়। এর মধ্যে প্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণি ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তিনি আরো বলেন চিংড়ি রেণু আহরণের নামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ইলিশের পোনা এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজপ্রাণী। মেঘনায় অভিযানের পাশাপাশি গণসচেতনতার কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে অভিযান সামান্য ব্যাহত হলেও শেষ পর্যন্ত অভিযান চলবে।