‘৩০ লাখ বিড়ি-শ্রমিক ও তামাক চাষিকে বেকার করা যাবে না’
ইমতিয়াজ মেহেদী হাসান: ২০ লাখ বিড়ি শ্রমিক ও ১০ লাখ তামাক চাষি- এই ৩০ লাখ মানুষকে বেকার করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে আয়োজিত বাংলাদেশ বিড়ি-শ্রমিক প্রতিনিধি সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ এবং বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনে এই প্রতিনিধি সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিড়ি কারখানা থেকে আগত প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপির। অনিবার্য কারণবশত তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। তবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তিনি একাত্মতা ঘোষণা করেন। তিনি বিড়ি শ্রমিক প্রতিনিধি সম্মলনে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমি একাত্মতা ঘোষণা করছি। জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করবো ।
প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রাক্তন সভাপতি মনজরুল আহসান খান বলেন, সেই পাকিস্তান আমল থেকে আমরা বিড়ি শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমরা শ্রমিকদের এই ন্যায্য আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করছি। তিনি আরো বলেন, বিড়ি শ্রমিকদের আন্দোলনের সংগ্রাম জাতীয় সংসদের মধ্যে হবে আর আমরা বাইরে সংগ্রাম করবো।
বিড়ি-শ্রমিক প্রতিনিধি সম্মেলনে সংহতি বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এমপি এবং বাংলাদশে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফজলুল হক এমপি ও কবি কাজী রোজী এমপি। কবি কাজী রোজী এমপি বলেন, কোনো বৈষম্য নয়, বিড়ি সিগারেটের জন্য একই নিয়ম দেখতে চাই।
সম্মেলনের মূল বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আরডিসির চেয়ারপারসন প্রফেসর ড. মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে বিড়ি শিল্প ধ্বংস করা যাবে না। বিড়ি সিগারেট দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বন্ধ করতে হলে দুটিই একসঙ্গে বন্ধ করতে হবে।
সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ বিড়ি-শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি।
রংপুরে আগামী ২৪ তারিখে বৃহৎ কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ ও ধর্মঘটের কথা জানান তারা।