চলছে যুদ্ধ সমাপ্তির বার্ষিকী উদযাপন: এখনও বিভক্ত জাতি শ্রীলংকা
সাউথএশিয়ান মনিটর : বিভক্ত জ তি হিসেবে গ”হযুদ্ধ সমাপ্তির নবম বার্ষিকী উদযাপন করছে শ্রীলংকা। একদিকে তামিলরা কথিত যুদ্ধকালিন ন”শংসতার ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছে, অন্যদিকে অভিযোগের ব্যাপারে সেনাদের প নি”েছ সরকার।
শনিবার কলম্বোতে আয়োজিত একটি যুদ্ধের স্বরণসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা। তিনি বলেন, যদিও অনেকে সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেছে, কিš’ এ ধরনের অভিযোগ জাতিসংঘ হিউম্যান রায়েটস কাউন্সিলের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও করা হয়নি।
অফিস অব দ্য ইউএন হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রায়েটসের ২০১৫ সালের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকারী বাহিনী ও বি”িছন্নতাবাদী তামিল টাইগার উভয়ের বিরুদ্ধেই যে অভিযোগগুলো রয়েছে, সেগুলো যদি আদালতে বিচার করা হয়, তাহলে পর¯ি’তির বিচারে সেগুলো যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। সিরিসেনা বলেন, ২৬ বছরের গ”হযুদ্ধে কতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে তার কোন সঠিক রেকর্ড নেই। তবে সংখ্যাটা এক লাখের মতো হতে পারে। জাতিসংঘ প্রাথমিকভাবে যে সংখ্যার কথা বলেছিল, সেটাও এরকমই। কিš’ প্রকৃত নিহতের সংখ্যার আরও অনেক বেশি বলে মনে করা হয়, কারণ শেষ বছরের যুদ্ধে কোন স্বাধীন পর্যবেক ছিল না। সরকার ২০১৫ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধের নিরপে তদন্ত করা হবে। কিš’ এ পর্যন্ত কোন পদপেই নেয়া হয়নি।
সিরিসেনা তার মন্তব্যে বলেছেন, তার সরকার জাতিগত বোঝাপড়ার পথ গ্রহণ করেছে।
শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তামিল অধ্যুষিত নর্দার্ন প্রভিন্সের মুখ্যমন্ত্রী সি ভি বিগ্নেসরন যুদ্ধের সময় বেসামরিক মানুষ নিহতের ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেন।
মুল্লিভাইক্কাল গ্রামে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে বিগনেসরন বলেন, ‘দরি না করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত একটা আন্তর্জাতিক কৌশলগত মেকানিজম তৈরি করা যাতে তিগ্র¯’দের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা যায়”। ১৮ মে কে ‘তামিল গণহত্যা দিবস’ হিসেবে উদযাপনেরও আহ্বান জানান তিনি।
যুদ্ধে শেষের পরবর্তী কয়েক বছর শ্রীলংকা সরকার বেসামরিক নাগরিকদের তাদের নিহতদের স্মরণ অনুষ্ঠান করতে দেয়নি। বরং বড় ধরনের বিজয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ এবং বিমান মহড়া পরিবেশিত হয়েছে।
২০১৫ সালে যুদ্ধ পরবর্তী জাতিগত সমঝোতার আশ্বাস দিয়ে মতায় আসেন সিরিসেনা। তিনি বিজয় উৎসব সেনাদের সম্মান জানানোর মধ্যে সীমিত রাখেন। অন্যদিকে তামিলদেরকেও তাদের নিহতদের স্মরণের অনুমতি দেয়া হয়।
শ্রীলংকান বাহিনী ২০০৯ সালে তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের পরাজিত করে। এর মধ্যে প্রায় সিকি সেঞ্চুরির বি”িছন্নতাবাদী গ”হযুদ্ধের অবসান ঘটে।
উভয় পরে বিরুদ্ধেই মারাত্মক মানবাধিকার লড়ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা ই”ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিক ও হাসপাতাল ল্য করে হামলা চালিয়েছে, যুদ্ধপ্রবণ এলাকায় খাবার ও ওষুধ যেতে বাধা দিয়েছে। তামিলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, শিশুদের তারা সেনা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে, সাধারণ মানুষদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করেছে এবং যারা তাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদেরকে তারা হত্যা করেছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ