মালয়েশিয়ার ঋণ এখন ২৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি: মাহাথির
ওমর শাহ: মালয়েশিয়ার সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার ঋণের পরিমাণ ১ লাখ কোটি রিঙ্গিত(২৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি) ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল সোমবার নিজ কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার সময় মাহাথির এ তথ্য তুলে ধরেন। মাহাথির ওই পরিমাণ রাষ্ট্রীয় ঋণের জন্য নির্বাচনে পরাজিত প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারকে দায়ী করেছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের প্রধান নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলমান। রাষ্ট্রীয় ঋণের পরিমাণ নিয়ে অভিযোগ করলেও মাহাথির ভর্তুকি দেওয়া ও জিএসটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খবর: রয়টার্স।
প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বলেছেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে ঋণের পরিমাণ ১ লাখ কোটি রিঙ্গিত ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের আগে কখনও এরকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়নি। এর আগে ঋণের সীমা কখনও ৩০ হাজার কোটি রিঙ্গিত ছাড়ায়নি।’
ঋণের কথা স্বীকার করলেও নির্বাচনি ওয়াদা অনুযায়ী মাহাথির বিশাল সংখ্যক পণ্যের ওপর থেকে ‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স’ (জিএসটি) বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী জুন থেকে অনেকগুলো পণ্য ও সেবার জিএসটি শূন্য করে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি মাহাথির জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দেওয়ার ওয়াদা করেছেন। রয়টার্স বলছে, নিজের নির্বাচনি জোট ছাড়াও নাগরিকদের মধ্য থেকে জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির যে অভিযোগ রয়েছে তার সমাধানে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে মাহাথিরকে।
গত সপ্তাহেই মাহাথির মন্তব্য করেছিলেন, দেশের অর্থনীতির বিষয়ে দেওয়া বহু তথ্যই খুব সম্ভব অসত্য। উল্লেখ্য, নাজিব ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই সরকারের ঋণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তখন নাজিব জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ঋণের পরিমাণ ছিল জিডিপির ৫০.৯ শতাংশ, যা সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চসীমা ৫৫ শতাংশের চেয়ে কম।