‘সরকারি-বেসরকারি বেতন-ভাতায় সমতা রক্ষার বাজেট চাই’
নাজমুল ইসলাম: বাজেট বিষয়ে আমার প্রথম ভাবনা হচ্ছে, সরকারের জনপ্রশাসনের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, বেশি লোক নিয়োগ হচ্ছে, এটা জনস্বার্থবিরোধী ও অসংগতিপূর্ণ। আমি চাই এমপ্লয়মেন্ট সেক্টরের চেয়ে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন হোক বেশি। বেসরকারি খাতের লোকজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো বেতন-ভাতা পায় না। এখানে সমতা রক্ষা হচ্ছে না। সরকারি-বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এ সমতাহীন বাজেট হলে বৈষম্য তৈরি করে। এমনটি প্রত্যাশিত নয়। সরকারি-বেসরকারি বেতন-ভাতায় সমতা রক্ষার বাজেট চাই।
আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে অর্থনীতিবিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম আরও বলেন, সরকার ১৮ থেকে ২০ লাখ লোকের জন্য সাধারণ মানুষের দেওয়া করের অর্থ অপব্যবহার করে বিশেষভাবে সুবিধাভোগী তৈরি করে, এটা জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতিপরায়ণ। তারা জনগণকে সেবা দেয় না, বরং সাধারণ মানুষকে নিপীড়ন করে।
তিনি বলেন, মানুষের করের টাকা দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সুবিধাদী বাড়ানো হচ্ছে, কিন্তু তাদের আচরণগত সমস্যা কমছে না, বরং দিনদিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে, ঠিক তেমনি সরকারি কর্মকর্তা এবং জনগণ এ দুইয়ের মাঝে জনগণকে ক্রসফায়ারে ফেলা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, হতদরিদ্র মানুষের যে সুরক্ষার দেওয়ার কথা, সেটা এখনো হয়নি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন পেনশন দেওয়া হয়, হতদরিদ্রদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তহবিল গঠন করতে হবে, সরকারি প্রস্তাবনায় আছে, তা এখনো পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। আগামী বাজেটে যাতে তা কার্যকর করা হয় সেই প্রস্তাবনা আমি রাখছি। শেয়ারবাজারের ধস, মানুষের কষ্টের টাকা চলে যাচ্ছে। আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এখানে বিশেষভাবে নজর দেওয়া দরকার, যাতে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটে।