একরাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতাসহ নিহত ৯
মুরাদ হাসান: রোববার রাত থেকে গতকাল সোমবার ভোর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন যুবলীগ নেতা। যশোর, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুর ও নরসিংদীতে ৬ জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬ জন নিহত হয়েছেন। আর যশোরে যশোরে মাদক ব্যবসায়ি দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে ৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:
এম এ আর মশিউর, যশোর জানান, যশোরে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে যশোর শহরতলীর শেখহাটি মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করছে-এমন সংবাদ পায় পুলিশ। এসময় শেখহাটির নওয়াব আলীর খেজুর বাগান এলাকা থেকে দুইটি মৃতদেহ ও ৪শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। একইরাতে খোলাডাঙ্গা এলাকা থেকে এক মাদক ব্যবসায়ীর মরদেহ ও একশ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।
আফজাল হোসেন, রাজশাহী জানান, জেলার পুঠিয়ায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা লিয়াকত আলী মন্ডল নিহত হয়েছেন। রোববার গভীর রাতে উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র জামিড়া গ্রামে বন্দুকযুদ্ধে লিয়াকত নিহত হয়। তিনি বানেশ^র ইউপির ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে ৮টি মামলা ছিল। লিয়াকতের বড় ভাই জুবের মন্ডল বলেন, লিয়াকত একসময় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। প্রায় ২ বছর ধরে সে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে গরুর খামার করেছে। রোববার দুপুরের আগে কয়েকজন তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে লিয়াকত আর বাড়ি ফিরেনি। রাতে তারা খবর পান লিয়াকত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।
মিল্টন খন্দকার, গাজীপুর জানিয়েছেন, টঙ্গীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ এক ‘মাদক ব্যবসায়ি’ নিহত এবং দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গত রোববার দিনগত রাত ৩টায় টঙ্গীর নিমতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রেজাউল ইসলাম ওরফে রনি ওরফে বেস্তি রনি (২৭), টঙ্গীর এরশাদ নগরের ৩নম্বর ব্লকের বাসিন্দা হাফিজুল ইসলামের ছেলে। আহতরা হলেন- টঙ্গী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ওমর ফারুক ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনোয়ার হোসেন।
অলক কুমার দাস, টাঙ্গাইল জানান, জেলার ঘাটাইলের দেউলাবাড়ি এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবুল কালাম আজাদ খান (৪২) নামে এক ‘মাদক বিক্রেতা’ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত আবুল কালাম আজাদ খান ঘাটাইল উপজেলার পূর্ব পাকুটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান খানের ছেলে। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানার ছয়টি মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। টাঙ্গাইল র্যাব-১২’র সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাবিব ওসমান, কালিগঞ্জ (ঝিনাইদহ) জানান, জেলার কালীগঞ্জ নরেন্দ্রপুর এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছব্দুল মন্ডল (৪৫) নামে এক ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাত ১ টা ৩০ মিনিটের সময় এ ঘটনা ঘটে।
একরাতেই চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জোনাব আলী (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নরসিংদীতে পলাশে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইমান আলী (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।