এসব ক্রসফায়ার নয়, বন্দুক যুদ্ধ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আনিসুর রহমান তপন: সম্প্রতি প্রতিদিনই দেশর বিভিন্ন জেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এটা ক্রসফায়ার নয়, বন্দুক যুদ্ধ। তিনি বলেন, দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযানের সময় পুলিশের উপর আক্রমণ করায় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা আক্রমণ করার মাদক ব্যবসায়ী নিহত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখনই হাই-প্রোফাইল মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে গেছেন, তারা হয় পালিয়েছেন নতুবা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। এই যুদ্ধে যখন লিপ্ত হয়েছে, পুলিশের উপর অ্যাটাক হয়েছে তথনই কাউন্টার অ্যাটাকে তারা নিহত হয়েছে। আত্মরক্ষার্থে এমন অধিকার আইনে দেয়া হয়েছে। এখানেই তেমনই কয়েকদিনে কয়েকটি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, আমরা তথ্যভিত্তিক, প্রমাণভিত্তিক কাজ করছি। পরিষ্কার কথা কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ম্যাসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স, সে সংসদ সদস্য হোক, সরকারি কর্মকর্তা হোক, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা হোক, যেই হোক, ইভেন সাংবাদিক হোক কাউকে আমরা ছাড় দেব না। এযাবৎ দুই হাজারের বেশি মাদক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচার করে কারাদ- দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ, র্যাব, সাংবাদিক যারাই মাদকের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাদের ছাড় নয়।
প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের নিহতের খবর আসলেও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ থাকার পরও কক্সবাজার-৪ টেকনাফ-উখিয়া আসনের এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা কেন নেওয়া হচ্ছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা সেই অভিযোগগুলো সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে যেসব তথ্য আছে তা পর্যাপ্ত নয়, আরো তথ্য প্রমাণ দরকার উল্লেখ করেস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাছে যদি কোনো তথ্য থাকে পাঠিয়ে দেবেন। আমাদের কাছে যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি জানিয়ে তিনি বলেন, মাদকের সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে কারো বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রমাণ থাকে আপনারা আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। কামাল বলেন, আমাদের একজন সংসদ সদস্য কত বছর ধরে জেলে আছেন সেটা আপনারা জানেন। এমনটি তিনি জামিনও পাননি। আইন সবার জন্য সমান। আমরা আইনের বাইরে কাউকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেই না। এ বিষয়ে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন।
গোয়েন্দা সংস্থার আগের তালিকায় সংসদ সদস্য বদির নাম ছিল, কিন্তু সম্প্রতি তালিকায় তার নাম নেই এমন অভিযোগের জাবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা শুনেছেন, আর আমরা দেখছি। আপনারা শুনে শুনে কথা বলছেন। আমরা বলছি তথ্যভিত্তিক, প্রমানভিত্তিক।