সাংবাদিকতা ব্যাহত করা আমাদের উদ্দেশ্য না : আইনমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান স¯্রাট : আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিকতা ব্যাহত করা আমাদের উদ্দেশ্য না। সাংবাদিকদের টার্গেট করে কোনো আইন করাও আমাদের উদ্দেশ্য না। সংবিধানে বাক স্বাধীনতার কথা বলা আছে। সংবিধানের উল্লেখযোগ্য দিক প্রেসের স্বাধীনতার কথাও বলা আছে। তাই সংবিধানের বিপরীতে বা সাংঘর্ষিক কোনো আইন করতেই পারি না। আইনমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার সংসদ ভবনে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি বিতর্কিত ধারা সম্পর্কে গণমাধ্যমের আপত্তি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সংসদে উত্থাপিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ নিয়ে আলোচনা হয়। বিতর্কিত এই আইনের ৩২ ধারা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সাংবাদিক বা যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কাঠামোতে বার বার অনুপ্রবেশ করলে যাবজ্জীবন কারাদ- ও পাঁচ কোটি টাকা অর্থদ-ের বিধান রাখা হয়েছে।
গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাংবাদিকের সংগঠন এডিটরস কাউন্সিল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক (বিএফইউজে) এবং বেসরকারি টেলিভিশন সংস্থার (এ্যাটকো) নেতাদের মতামত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা যে আইনটি করতে চাই সেটা সারাদেশের জন্য করতে চাই। কোনো গোষ্ঠী বা পেশার জন্য আইন করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ৮টি ধারা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি এডিটরস কাউন্সিল, বিএফইউজে এবং অ্যাটকোর নেতাদের সঙ্গে। আলোচনা করে এসব ব্যাপারের জন্য সুপারিশ করব। এগুলো সংজ্ঞার প্রয়োজন। যেসব শব্দ এই আইনের মধ্যে আনা বা ঢুকানোর প্রয়োজন সেগুলো আমরা করার সুপারিশ করব।
এরপর আবারও যেন এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয় এটা নিয়ে ক্রিটিসিজম (সমালোচনা) না হয়, আজ সে উদ্দীপনায় আমরা আলোচনা করেছি সেটা যেন ব্যর্থ না হয় সে কারণে যখন সংসদীয় কমিটি এই আইনের চূড়ান্ত করবেন তারপর আবার এই সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে বসব। আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই এই আইনটি পাস হবে কি-না প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা আমার হাতে না। তিনি বলেন, ৫৭ ধারা অপব্যবহার রোধে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের সেল থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত অনুমোদন পাওয়া না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত মামলা রজু হবে না। এটা করার পরে ৫৭ ধারায় মামলা শতকরা ৯৫ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। এই আইনটা যখন হবে তখন নিশ্চয় ৫৭ ধারা বাতিল হবে।