অভিযোগের বিষয়ে যা বলার দুদককে বলেছি: এ কে আজাদ
তরিকুল ইসলাম সুমন: হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, একটি অভিযোগের বিষয়ে আমার যা বক্তব্য ছিল তা দুদককে বলেছি। তদন্তেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। অভিযোগের বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে এ কে আজাদকে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মীর মো. জয়নুল আবেদিন শিবলী জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এর আগে গত ৯ মে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা থাকলেও বিদেশি ক্রেতার সাথে পূর্বনির্ধারিত আলোচনা থাকার কারণ দেখিয়ে দ্বিতীয় দফায় হাজির হননি তিনি। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক আজাদকে ১০ দিনের সময় দিয়ে ফের গতকাল তলব করেছিল।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে এ কে আজাদকে ৩ এপ্রিল প্রথম তলব করা হলেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার কর-ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর হা-মীম গ্রুপের ব্যবসায়ী এ কে আজাদের ফনিক্স টাওয়ারের কার্যালয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে অভিযান করেছিল দুদক। দুদকের হটলাইন ‘ওয়ান জিরো সিক্স’ নম্বরে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক এই সভাপতির বিরুদ্ধে সরকারি জমি আত্মসাতের অভিযোগ আসলে দুদক পরিচালক যায়েদ হোসেন খানের নেতৃত্বে একটি টিম ফনিক্স টাওয়ারের অফিসে যান। প্রায় এক ঘণ্টা ফিনিক্স টাওয়ারে অবস্থান করে এ কে আজাদকে না পেয়ে তার অফিসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে চলে আসেন। এরপরই ওই অভিযোগসহ অবৈধ সম্পদ ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
সূত্র জানায়, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এ কে আজাদ রাজধানীর নয়াপল্টনে প্রীতম হোটেলের পাশে কোর্ট অব ওয়ার্ডস ভাওয়াল রাজ অ্যাস্টেট, সিটি জরিপ দাগ নং ১৮১৬, ১৮১২ ও ১৮১৫ দাগের প্রায় ১৫ কাঠা জমি অবৈধভাবে জবরদখল করে তার ওপর স্থাপনা গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্পাদনা: আনিস রহমান