গুলশানের ইফতার বাজার
ফাহিম ফয়সাল: রোজা রেখে সবাই একটু ভালো খেতে পছন্দ করেন। তাই ইফতারের আয়োজনে থাকে নানা ধরনের খাবার। সব খাবার বাসায় তৈরি করা সম্ভব হয় না বলে হোটেল-রেস্টুরেন্টের ইফতার কেনায় ব্যস্ত দেখা যায় রোজাদারদের। ইফতারের জন্য খরচ করতে কার্পণ্য করেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর গুলশানে তো কথাই নেই। গতকাল দুপুর থেকে গুড়ি, গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় বিকেলের পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হতে দেখা যায়।
বিন্নি রেস্তোরা ৩১ টি ইফতার আইটেম সরবরাহ করছে। এখানকার ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের এখানে সবচে বেশি বিক্রি হচ্ছে হালিম ও দই বড়া। এছাড়া বিফ কালো ভুনা ও গরুর কলিজা ভ’না কেজি ১২০০ টাকা, চিকেন বটি কাবাব ৪০০ টাকা, চিকেন রেশমী কাবাব ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফখরুদ্দিন ইফতার বাজারে রয়েছে ৩৩টি আইটেম। এখানে খাসির হালিম ২০০-৬০০, গরুর চাপ ৮০০, খাসির চাপ ১০০০, দইবড়া ২০০, কাচ্চি বিরিয়ানি ১৬০-৩০০, চিকেন বিরিয়ানি ১৬০-২৮৫ ও চিকেন রোস্ট ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আয়োজক ফখরুদ্দিন বাবুর্চির নাতি মো. আব্দুল খালেক বলেন, আমাদের ইফতার কোনো বিশেষ শ্রেণির জন্য নয়, আমাদের সরবরাহকৃত ইফতার শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত।
এবাকাস রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ৪৩ আইটেমের ইফতার সরবরাহ করছি। এর মধ্যে শাহী হালিম, দই বড়া ও রেশমী জিলাপির চাহিদা বেশি। এছাড়া আমাদের এখানে ৪০০, ৫০০ ও ৬০০ টাকার ৩টি বক্স আইটেম রয়েছে।
চিটাগাং বুলে ইফতার সেট মেন্যু আছে দুটি। একটি দাম সাড়ে ৪৯৯ টাকা আরেকটির দাম ৫৯৯ টাকা। ৪৯৯ টাকায় মিলবে গ্রিল্ড চিকেন, চিকেন উইংস, সালাদ, তরমুজ, লেমোনেড। ৫৯৯ টাকায় মিলবে ম্যাক্সিকান চিকেন স্টিক, ম্যাক্সিকান রোল, তরমুজ, লেমোনেড, বিফ ট্যাকো।
ওয়েস্ট্রিনের ডেইলি ট্রিট্সের ম্যানেজার বলেন, আমাদের এখানে ২৯৯০ এবং ১৯৯৯ টাকার দুটি প্যাকেজ রয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, অভিজাত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য ইফতার বাজারের তুলনায় গুলশানে দাম একটু বেশি। এখানে ভাসমান ইফতার বিক্রেতা নেই বললেই চলে।
তিন তারা হোটেলগুলো রমজানে ইফতার পার্টির ব্যবস্থা রেখেছে। বিভিন্ন আয়োজকরা জানান, তারা ইফতারের জন্য ৩৫টি থেকে ৫০টি আইটেম সরবরাহ করছেন। সেখানে বেশি বিক্রি হচ্ছে শাহী মাটন হালিম, দইবড়া, সামী কাবাব ও শাহী জিলাপি। এছাড়া বক্সে ইফতারের ব্যবস্থা রয়েছে।