কৃষিখাতে ভর্তুকি বাড়াতে হবে
আদম মালেক: অর্থমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ বেশি। উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে কৃষক খরচ তুলতে পারছে না। তাই কৃষিখাতে ভর্তুকি বাড়াতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কৃষিখাতে স্বয়ম্ভরতা ও খাদ্য অধিকার শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ এ সেনিনারের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, প্রাকটিক্যাল একশন বাংলাদেশ ও খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের জাতীয় কমিটির সদস্য ড. ফারুক-উল-আলম,হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ডের দেশেীয় পরিচালক আতাউর রহমান মিটন,বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খানসহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলী।
ড.আবদুর রাজ্জাক বলেন, জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান কমলেও দেশের চল্লিশ শতাংশ মানুষ এখনও কৃষিনির্ভর। অথচ এসব কৃষিজীবি মানুষ তাদের উপপাদিত পণ্য বিক্রি করে খরচও তুলতে পারে না। তাই কৃষিখাতে ভতৃকি বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তার ওপর রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটি আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। তবুও আমাদের সফলতা অনেক। দেশে খাদ্য উতপাদন ১ লাখ ১০ হাজার টন থেকে সাড়ে তিন লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। ড. কাজী খলীকুজ্জামান বলেন, কৃষি আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। কৃষিতে পিছিয়ে পড়া এসব মানুষের কথা সরকারকে ভাবতে হবে। অথচ তাদের কথা সরকারের কানে পৌঁছে না। ব্যাংক ঋণের সুদেও হার কমেনি কারণ ব্যাংক মালিকরা রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা মোটামুটি। তবুও দেশের ছয় কোটি মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এই পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
খাদ্য অধিকার বাংলাদেশে সদস্য ড. ফারুক-উল-আলম মূল্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, একজন কৃষক যাতে পণ্যে ন্যায্য পায় সেজন্য মূল্য কমিশন গঠন করতে হবে। একজন কৃষক জানে না কোন পণ্য কোথায় কী মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। সম্পাদনা: আনিস রহমান