পাইকারিতে নিত্যপণ্যের দাম কমলেও খুচরা বাজারে প্রভাব নেই
মাসুদ মিয়া: রাজধানীতে পাইকারি বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমা শুরু হলেও খুচরা বাজারে প্রভাব নেই। পাইকারি বাজরে এক কেজি বেগুন বিক্রয় হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা আর খুচরা বাজারে একই বেগুন ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। রাজধানীর কারওরান বাজারে পাইকারি এককেজি কাচামরিচ বিক্রয় হচ্ছে ২০ টাকা। আর খুচরা বাজারে এককেজি ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। কাচামরিচের দামের ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণের বেশি। পাইকারি বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা কমলেও খুচরা বাজারে কমেছে ৫ টাকা। তবে ব্যবসায়ীরা বলেছে, সামনে আরও কমবে।
নতুন মৌসুমের চাল বাজারে আসতে শুরু করায় মিনিকেট ও বিআর-২৮ জাতের চালের দর কেজিতে ৪-৫ টাকা কমেছে।
দেশের বাজারে গত কয়েক মাস প্রতি কেজি চিনির দর ৫৪-৫৫ টাকা ছিল। এই মাসের শুরুতে পাইকারি বাজারে সরবরাহে কিছুটা টান পড়ায় দাম কেজিতে প্রায় ৫ টাকা বেড়ে যায়। এখন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি ৫৮-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। আর দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। রসুন ও আদার দামও কমতির দিকে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্রতি কেজি চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে, যা কিছুদিন আগেও ১২০ টাকা ছিল। অন্যদিকে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা ৮০ টাকা দরে।
কাওরান বাজারে বিক্রেতা মহাসিন হোসেন বলেন পাইকারি বাজারে কোন কিছুর দাম বাড়েনি বরং গত বছরের তুলনায় কমেছে। তিনি বলেন, রোজার আগে খেসারি ডাল ছিল ৬০ টাকা এখন সেই ডাল ৫৫ টাকা বিক্রয় করছি। ৫ কেজি বোতলজাত সোয়াবিন তেল ৫১০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে। ছোলা ৭০ টাকা, মশুর ডাল ভালো মানের ৯০ টাকা।
মিরপুর বাজারে সব দোকান ভালোমানের ছোলা ৫ টাকা কমে ৭৫ টাকা কেজি করছেন বিক্রেতারা। দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে গাজর ও শসা। গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম কমে হয়েছে ৪০ টাকা। আর ৬০ টাকার শসার দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। তবে লাল শাক, সবুজ ডাটা শাক, পাট শাক, কলমি শাক আগের সপ্তাহের মতো ৫-১০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। পুইশাক বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রয় হচ্ছে পাইকারি বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা আর খুচরা বাজারে ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা।