নেপাল প্রধানমন্ত্রীকে ১৯ জুন চীন সফরের আমন্ত্রণ
সাউথএশিয়ান মনিটর : নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি আগামী ১৯ জুন ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীন যেতে পারেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর এটা হবে তার দ্বিতীয় বিদেশ সফর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা এই পত্রিকাকে জনান যে ১৭ মে কাঠমান্ডুর চীনা দূতাবাস প্রধানমন্ত্রীর সফরের তারিখ প্রস্তাব করলে উভয় পক্ষ ১৯ জুন এই সফর শুরু করার বিষয়ে একমত হয়। বেইজিং ছাড়াও চীনা পক্ষ অলিকে সিচুয়ান প্রদেশ ও তিব্বত অটোনমাস রিজিয়ন সফরের প্রস্তাব দিয়েছে। সম্প্রতি নেপালে চীনা রাষ্ট্রদূত ইউ হং তিব্বত সফর করে আসেন অলির সফরের বন্দোবস্ত করতে। সফরের কর্মসূচি ও এজেন্ডা নিয়ে গত সপ্তাহে তিনি নেপালের পররাষ্ট্রসচিব শংকর দাস বৈরাগির সঙ্গেও আলোচনা করেছেন।
তবে, কোন পক্ষের অনিবার্য কারণে সফরের তারিখ সামান্য হেরফের হতে পারে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে। সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী ২০ ও ২১ জুন খুবই ব্যস্ত সময় কাটাবেন। তখন তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ও অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সফরকালে স্বাক্ষরের জন্য কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক প্রস্তুতের কাজ এখন চলছে। শনিবার অলি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বলেন, একমাস পর আমি চীন সফরে যাচ্ছি। তারিখ ও কর্মসূচির ব্যাপারে কোন পক্ষ থেকে এখনো কিছু প্রকাশ করা না হলেও সফরের প্রস্তুতিমূলক কাজ এগিয়ে চলছে। প্রতিবেশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কয়েকদিন আগে নেপাল সফর করেছেন।
তাই নেপালী প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের ফলাফলের ওপর দিল্লির কড়া নজর থাকবে।অলি বলেন যে তার সরকার একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করবে, পাশাপাশি সুপ্রতিবেশী নীতিও অব্যাহত থাকবে। এর আগে সফরকালে অলি চীনের সঙ্গে ট্রানজিট ও ট্রান্সপোর্ট চুক্তি করেছিলেন, যা ছিলো একটি মাইলফলক।
এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেন তিনি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ