অভিযানে অন্যায় কিছু হলে নির্বাহী তদন্তে নিষ্পত্তি হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আনিসুর রহমান তপন : মাদকের বিরুদ্ধে চলমান ্অভিযানে অন্যায় ভাবে কেই নিহত হয়ে থাকলে সে ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে।
মাদক নির্মূল অভিযানে কক্সবাজার জেলার টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহত আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থানীয়রা নিরপরাধ দাবি করায় বিতর্ক সমৃষ্টি হয়েছে এ ঘটনায়। আর এই ঘটনায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শুধু একরাম কেন? চলমান অভিযানে যে কয়টি হত্যাকা- সংগঠিত হয়েছে সবগুলোর বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে তদন্ত হবে। সেই তদন্তে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিচার হবে। তিনি বলেন, যেখানে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে, সেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত কওে দেখবেন গান ফায়ারটি সঠিক ছিল কিনা। এই দেশে সেই ব্যবস্থা রয়েছে। যদি অন্যায়ভাবে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়ে থাকে তাহলে ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্ত অনুযায়ী সেই ব্যবস্থাও হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের জানান, মাদকবিরোধী লড়াইয়ে সরবরাহকারীদের পাশাপাশি যারা এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে, সেই হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুবা এই অভিযানের সাফল্য নিয়ে আমাদের সন্দেহ থেকেই যায়। তিনি বলেন, মাদকচক্রের হোতাকে না ধরে পরিবেশক ধরে লাভ নেই।
চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ১২২ জন নিহত হয়েছে। স্বভাবতই এটার নিয়ে আলোচনা বেশি হয়েছে। তবে আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটিও ছিল জানিয়ে বার্নিকাট সাংবাদিকদের জানান, অভিযানে প্রাণহানির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবাইকে নিজেকে রক্ষার জন্য অধিকার দিতে হবে। তবে সংঘর্ষ হলে সেখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, আমি বরাবরের মতো বলেছি মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে হবে। যেন মানুষ আস্থা পায় যে সঠিক ব্যক্তিকে ধরা হচ্ছে, সঠিক ব্যক্তি সাজা পাচ্ছে। এখানে দুইটি বিষয় জড়িত উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে পরিবেশকদের এই রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তারচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মাদক সরবরাহের পেছনে যেসব হোতা রয়েছে সেই সব হোতাদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করা। সম্পাদনা: আনিস রহমান