খুলনায় হত্যা মামলায় ৭জনের যাবজ্জীবন
শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার উত্তর বিল পাবলা গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসকে গুলি করে হত্যা মামলায় ৭জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এস এম আব্দুস ছালাম এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ। দ-প্রাপ্তরা হলেন- ডুমুরিয়া উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র সাহার ছেলে প্রদীপ সাহা (৫২), উত্তর বিলপাবলা এলাকার শচীন বিশ্বাসের ছেলে বিকাশ বিশ্বাস (২৬), সুরেশ বিশ্বাসের ছেলে কার্তিক বিশ্বাস (২৫), হরিদাস শিকদারের ছেলে তপন শিকদার (৩০), কালীদাস শিকদারের ছেলে মতিলাল শিকদার (৪০), মৃত অমূল্য বিশ্বাসের দুই ছেলে সুভাষ বিশ্বাস (৩৯) ও রমেশ বিশ্বাস (৩৬)। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রদীপ সাহা ও সুভাষ বিশ্বাস রায় ঘোষণাকালে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত অন্য ৫জন পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৩জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করে আদালত। আইনজীবী ফরিদ আহমেদ মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, উত্তর বিল পাবলা গ্রামে ১৬১ একর জলমহল ইজারা নিয়ে একটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সঙ্গে মৎস্য চাষ শুরু করেন একই এলাকার অভিমুন্য সরদারের ছেলে ভরত সরদার। এ জলমহল নিয়ে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এ জলমহলটি পুনরায় ইজারা নেয়ার জন্য ২০০৬ সালের ১৮জুলাই রাত ৯টার দিকে মুকুন্দ নাথ বিশ্বাসের বাড়িতে বসে এ বিষয়ে আলোচনা চলছিলো। রাত ১১টার দিকে বেশ কিছু ব্যক্তি পিস্তল, রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে আলোচনাস্থলে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে তারা ভরত সরদারের মামাতো ভাই সুকুমার বিশ্বাসের গলায় গুলি করে এবং অন্যান্যদের কুপিয়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সুকুমারকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরের দিন ভরত সরদার ১২জনের নাম উল্লেখ করে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক স্বপন কুমার মজুমদার ২০০৭ সালের ২১জানুয়ারি ২০জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।