মিয়ানমারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নতুন যুদ্ধ শুরু
সাউথএশিয়ান মনিটর : বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে ঘিরে রাজনৈতিক গোলযোগ বেড়ে যাওয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে মিয়ানমার সরকার। দুর্নীতি দমন কমিটি এরমধ্যে কাজ শুরু করেছে। কমিটির দুজন কর্মকর্তা কাজ শুরু করেছেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে নতুন এই যুদ্ধের পরিণতিটা সরকারের প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) উভয়ের জন্যই কঠিন হবে। মার্চের শেষে দায়িত্ব নেয়ার সময় প্রেসিডেন্ট উইন মাইন্ত ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে সরকার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির মূলোৎপাটনে নতুন করে পদক্ষেপ নেবে। প্রথম বক্তৃতায় তিনি পরিস্কারভাবে ঘর পরিস্কার করার ইচ্ছার কথা বলেছিলেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘যে সব সরকারী প্রতিষ্ঠান রূপান্তরের ক্ষেত্রে পেছনে পড়ে আছে, সেগুলোকে কঠিন ব্যবস্থাপনার অধীনে নিয়ে আসা হবে। দেশের দুর্বল বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী করা প্রয়োজন। দুর্নীতি দূর করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেয়া দরকার’।
দুই মাস পর দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা – ফুড অ্যা- ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশান ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল থান তুত এবং প্ল্যানিং অ্যান্ড ফিন্যান্স মন্ত্রী কিয়াও উইনকে বরখাস্ত করা হয়। সরকারের ভেতরের সূত্রগুলো বলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের যুদ্ধ আরও কঠোর হতে যাচ্ছে। এপ্রিলের শেষ দিকে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের সাবেক ডিরেক্টর জেনারেল থান তুতের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। একটি কোম্পানিকে সরকারের স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের কাজ দেয়ার জন্য এক মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঘুষ নিয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কিয়াও উইন এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধেও কথিত দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে, যদিও অভিযোগের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি। স্থানীয় মিডিয়ায় মন্ত্রীকে নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ এবং তার বাড়িতে পুলিশের তল্লাশির পর সপ্তাহ দুই আগে তাকে পদত্যাগের সুযোগ দেয়া হয়।ম সরকারের দুর্নীতি দমন কমিটির তথ্য অনুযায়ী মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীসহ ১৮ জন শীর্ষ পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছয়টি টিম আলাদাভাবে তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত তদন্তের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। নামও জানানো হয়েছে মাত্র অল্প কয়েকজনের। দুর্নীতি দমন কমিটির চেয়ারম্যান অং কি অবশ্য সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে অর্থমন্ত্রী এবং অভিবাসন ও শ্রমমন্ত্রী উভয়ের বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে। কিয়াও উইনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত মামলাটি শিগগিরই হবে এবং যদি প্রয়োজন হয়, তবে পরবর্তী পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য বিষয়টি পার্লামেন্টে পাঠানো হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ