একরামের পরিবার এখনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেনি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুজন কৈরী: কক্সবাজারের টেকনাফের ওয়ার্ড কাউন্সিলর একরামুল হকের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনা একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গতকাল শনিবার সকালে ধানম-ির বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে, একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তে রয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্তে যদি কোনো রকম ইঙ্গিত আমাদের দেয় বা কোনো নির্দেশনা থাকে তাহলে অবশ্যই সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। সে যদি নিশ্চিত করে দেয় যে, এটা এই ধরনের ঘটনা তাহলে আইন অনুযায়ী বিচার হবে।
তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট যদি একরামের নিহত হওয়ার ঘটনাকে হত্যা হিসেবে নিশ্চিত করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনা নিয়ে যে অডিও প্রকাশ করা হয়েছে, সে অডিওটা আমার কাছে আসেনি। এছাড়া একরামুল হকের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অডিও রেকর্ডটি দেয়া হয়নি। তবে অভিযোগ না পাওয়া গেলেও একরাম নিহত হওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করবে একজন ম্যাজিস্ট্রেট। তদন্ত শেষে ওই ম্যাজিস্ট্রেট যে রিপোর্ট দেবেন তার ভিত্তিতেই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্যায় কাজ করে থাকে, কিংবা প্রলুব্ধ হয়ে বা স্বপ্রণোদিত হয়ে অথবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কিছু করে থাকে, তাহলে তার বিচার হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আবারও রিপিট করতে চাই, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
মাদকবিরোধী অভিযানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে তালিকা অনুযায়ী অভিযান চলছে তা কেবল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের না। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনছে। যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ডাকে সারা দিচ্ছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যারা নির্দোষ তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অভিযানে আটক ও গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার অভিযুক্তকে কারান্তরীণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের কারাগারে প্রায় ৮৩-৮৫ হাজার বন্দি আছে, যার প্রায় ৩৩ থেকে ৩৫ শতাংশ মাদকের মামলার আসামি। সম্পাদনা: আনিস রহমান