কুলাউড়ার নিরীহ ব্যক্তিকে মাদক ব্যবসায়ী সাজানোর অভিযোগ
স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের কুরাউড়ায় বিজিবি’র সোর্সের কাজ ছেড়ে দেয়ার উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ভারতীয় সীমন্তবর্তী ট্রাট্টিউলী গ্রামের মো. আব্দুছ ছালামকে পরিকল্পিতভাবে মাদক ব্যবাসায়ী সাজানোর অভিযোগ উঠেছে বিজিবির বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে কুলাউড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন আব্দুছ ছালামের স্ত্রী নুরজাহান বেগম ও ছেলে মো. আজাদ মিয়া।সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আব্দুছ ছালাম এক সময় বিজিবি’র সোর্সের কাজ করতেন। বিগত ৬-৭ বছর আগে এ পেশা ছেড়ে দেন তিনি। বর্তমানে তিনি মৌলভীবাজার আদালতের এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করছেন। সোর্সের পেশা ছেড়ে দেয়াই কাল হলো তার। গত ২৮ মে সোমবার রাতে তারাবির নামাজ শেষে বাড়ী যাওয়ার পথে বিজিবি কুলাউড়ার মুরইছড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ওই রাতেই ১২ বোতল ভারতীয় মদসহ তাকে আটক দেখিয়ে কুলাউড়া থানায় হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় বিজিবি মুরইছড়া ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার জালাল সরদার বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা (নং-৪৪-১৮) দায়ের করেন। পরদিন মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছালামের স্ত্রী সুরজাহান বেগম জানান, আমার স্বামী কোনদিনই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলো না। বিজিবি উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে আমার স্বামীকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছে।
বিজিবি মুরইছড়া ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মো. জালাল সরদারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।বিজিবি-৪৬’র শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল মোমেন জানান, ছালাম একজন চোরাকারবারি। মদসহ তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। এর পেছনে কোনো কারণ নেই। তিনি মাদক নির্মূলে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।