প্যাকেজ-৭ চুক্তিতে যুক্ত হলো ভারত ‘গুণগত মান ঠিক রেখে নির্দিষ্ট সময়েই মেট্রোরেলের কাজ শেষ হবে’
সাইদ রিপন: রাজধানীতে চলমান ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের (এমআরটি) বা মেট্রোরেলের প্যাকেজ-৭ এর বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন ও ট্রেনের বিদ্যুত সরবরাহের লাইন, চলন্ত সিঁড়ি এবং স্বয়ংক্রিয় ভাড়া আদায় ব্যবস্থাপনা নির্মাণসহ আণুষাঙ্গিক কাজের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মেট্রোরেলের কাজ শেষ হবে।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্যাকেজ-৭ এর চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, জাপানের হাইকমিশনার, জাইকার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, মেট্রোরেলের এমডি এমএএন সিদ্দিক ও প্রকল্পের পরিচালক আফতাব উদ্দিন তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে মেট্রোরেল হচ্ছে অন্যতম। প্যাকেজ-৭ এর জন্য প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান হামলার পর অনেক দাতা সংস্থা প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে চলে গিয়েছিলো। তবে আমাদের সরকারের তৎপরতায় হলি আর্টিজান হামলার ঘটনা থেকে দ্রুত উত্তরণ করেছি। প্যাকেজ-৭ এর চুক্তি যেহেতু ভারতের সাথে হচ্ছে সেহেতু আগামীতে অন্যান্য প্রকল্পগুলোতেও ভারতের সহযোগিতা আশা করছি। প্রকল্পের গুণগত মান ঠিক রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
চুক্তিতে মেট্রোরেলের পক্ষে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএন সিদ্দিক এবং মারুবেনি-লারসেন-টুবরু কোম্পানির পক্ষে রাজিব জয়তি সই করেন। মারুবেনি-লারসেন-টুবরু জাপান ও ভারতের যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি। প্যাকেজ-৭ এর আওতায় মোট ৪ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কাজ বাস্তবায়ন করবে কোম্পানিটি।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণে কাজ চলছে। ২০১৯ সালের মধ্যে আগারগাঁও এবং ২০২০ সালের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আটটি প্যাকেজে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্যাকেজ-৭ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল সিস্টেম) এর আওতায় চলন্ত সিঁড়ি, রেলওয়ে ট্র্যাক ও স্বয়ংক্রিয় ভাড়া আদায় ব্যবস্থাপনা কাজ হবে। এর আগে প্যাকেজ-৮ এর চুক্তি সই হয়। মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। মেট্রোরেলের যাত্রাকালে ১৬টি স্টেশন থাকবে। ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবেন।