‘বাংলাদেশ ট্রেড এ- ট্যারিফ কমিশন’ করার প্রস্তাব উঠছে মন্ত্রিসভায়
আনিসুর রহমান তপন : ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন’ নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ ট্রেড এ- ট্যারিফ কমিশন’ করছে সরকার।
এজন্য সম্প্রতি বিদ্যমান ট্যারিফ কমিশন আইন, ২০১৮ সংশোধন বিল অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাঠিয়েছে বানিজ্য মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন পেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানাগেছে এ তথ্য।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাঠানো এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ সূত্রে জানাগেছে, আইনটি সংশোধন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৯২ সনের ৪৩নং আইনের ১ ধারার প্রথম লাইনে, ২(ক) ধারার প্রথম লাইনে ও ৩(১) এর ধারার দ্বিতীয় লাইনে ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন’ শব্দের পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ ট্রেড এ- ট্যারিফ কমিশন’ শব্দ প্রতিস্থাপনের জন্য অনুমোদন প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়াও শিল্পপণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বিপননে দক্ষতাবৃদ্ধি, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে তুলনামূলক সুবিধা নিরুপণ এবং দেশীয় পণ্য ও সেবা রপ্তানি উন্নয়নকল্পে দেশীয় শিল্পের স্বার্থসংরক্ষণ ও বিকাশে ১৯৯২ সনের ৪৩ নং আইনের ৭ ধারা সংশোধনের মাধ্যমে কমিশন শুল্ক নীতি পর্যালোচনা এবং শুল্কহার যৌক্তিকীকরণে, আমদানী-রপ্তানিযোগ্য পণ্যসমূহের হারমোনাইজড সিস্টেম কোড পর্যালোচনা বিষয়ে, বিদ্যমান ক্স্টমস আইনের এন্টিডাম্পিং, কাউন্টারভেইলিং ও সেইফগার্ড মেজার্স অনুযায়ী দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ করা, দ্বি-পাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বিশ্ব বানিজ্য সংস্থা (ডাব্লিুটিও)সহ অন্যান্য বহু-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে, ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট ট্রেড, জিএসপি ও অন্যান্য প্রেফারেন্সিয়াল বাণিজ্য সংক্রান্ত সুবিধা, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য পর্যালোচনা ও পরিবীক্ষণ করা, বৈদেশিক বাণিজ্যে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব বিস্তারকারী দেশীয় ও বিদেশী নীতিমালা, রীতিনীতি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা পর্যালোচনা করার সুপারিশ করবে।
পাশাপাশি শিল্প, পণ্য, সেবা ও বৈদেশিক বানিজ্য সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ, ডাটাবেজ সংরক্ষণ, পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করা এবং জনস্বার্থে এই তথ্যসমূহ সরকার ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করা, নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্যব্যাদিও আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারদও নিরীক্ষণ ও পর্যালোচনা করা ছাড়াও শিল্প, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শুল্কনীতি প্রণয়নসহ বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্ভূত যে কোনো সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কমিশন। আইনের উপধারা ১ এর অধীনে সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থ শিল্প, ভোক্তা ও জনসাধারণের স্বার্থ বিবেচনা করে কমিশন অনুরুপ ক্ষতি লাঘবের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চিহ্নিত করবে। একই উপধারার অধীনে কমিশনের দেয়া সুপারিশ বিবেচনার পাশাপাশি সরকার স্বীকৃতি দিবে। তাছাড়া একই উপধারার অধীনে কমিশন স্বউদ্যোগে গবেষণা/সমীক্ষা পরিচালনা করতে পারবে এবং অংশী জনের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিও লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
এছাড়াও ১৯৯২ সনের ৪৩ নং আইনের ১২(১) ধারায় কমিশন গবেষণা/সমীক্ষা সহায়তার জন্য প্রচলিত বিধিবিধানের আলোকে স্বল্পমেয়াদে গবেষণা সহায়তাকারী নিয়োগ করতে পারবে। তাছাড়াও বিদ্যমান আইনের ১৭ ধারা সংশোধন করে ‘এই আইনের উদ্দেশ্য পুরণকল্পে, সরকার কমিশনকে যে কোনো নির্দেশ প্রদান করাতে পারবে’ এমন শব্দ প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি