বরিশালে বকেয়া বেতনের দাবিতে গ্রামীণফোন শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বরিশাল প্রতিনিধি : বকেয়া চার বছরের ইনক্রিমেন্ট, সারাদেশে ১৬৪ জন শ্রমিকের কাজ বন্ধ রাখা, সরকার ঘোষিত পাঁচ ভাগ লভ্যাংশের দাবিতে গ্রামীণফোনে কর্মরত শ্রমিকরা গতকাল সোমবার নগরীর সদর রোডস্থ প্রতিষ্ঠানের বরিশাল কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। গ্রামীণফোনের সদর রোডস্থ বরিশাল অফিসে কর্মরত থাকলেও বর্তমানে অফিসে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে অফিস সহকারী হুমায়ুন কবির জানান, গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে তাদের দায়েরকৃত মামলাগুলো হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার প্রথম শ্রেণির শ্রম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলা পরিচালনার জন্য প্রায়ই তাকেসহ অপর সহকর্মীদের ঢাকায় যেতে হয়। একদিকে পাঁচ বছর পূর্বের ধার্য্যকৃত বেতন, বর্তমানে অফিসে প্রবেশ করতে বাথধা এবং মাসের মধ্যে ২/৩ বার ঢাকার আদালতে যাতায়াত করতে গিয়ে তারা ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে তাদের পরিবার-পরিজনের জীবন অনিশ্চিত। তিনি দাবি করেন, কেবল তিনি একাই নয় বরিশালে কর্মরত শ্রমিকদের সকলেরই একই অবস্থা। গ্রামীণফোনের বরিশালে কর্মরত অপর শ্রমিক রেজাউল করিম জানান, ১৩ বছরের চাকরি জীবনে বর্তমানে ১২ লাখ টাকা ঋণ গ্রস্থ হয়ে তিনি চরম হতাশা নিয়ে জীবন-যাপন করছেন। রেজাউল বলেন, পাঁচ সদস্যর পরিবারে কর্মক্ষম বলতে তিনি একা। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা তো দূরের কথা তিনবেলা খাবার জোটাতে পারছেন না। এমন অবস্থা চলতে থাকলে তার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবেনা। তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত দু’ইউনিয়নের চারটি মামলার রায় ও কর্মচারী-শ্রমিকদের দায়েরকৃত প্রথম শ্রেণির আদালতে দু’টি, শ্রম ট্রাইব্যুনালে আপিল বিভাগে একটি রায় মিলিয়ে মোট সাতটি রায় তাদের পক্ষে আসার পর আজও তারা অসহায়। শ্রমিকরা জানান, আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মাঝে আনন্দ থাকলেও তারা চরম হতাশায় পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
। তাদের বহু শ্রমিককে চরম হতাশার মধ্যদিয়ে মৃত্যুবরন করতে হয়েছে। আর যারা বেঁচে আছেন তারা গ্রামীণফোনের সঙ্গে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।