নারায়ণগঞ্জে ব্রাজিল ভক্তের বাড়ি দেখতে যাচ্ছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত
মনজুর আহমেদ অনিক, নারায়ণগঞ্জ : ২০১৮বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হতে দিন কয়েক বাকি। এরি মধ্যে প্রিয় দলের সমর্থকরা পতাকা উড়িয়ে,জার্সি পড়ে নিজ দলের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছে অনেকে। সে উম্মদনায় ব্রাজিলের পতাকার রঙে বাড়ি সাজিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছেন জয়নাল আবেদিন ওরফে টুটুল। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার লালপুর এলাকার ব্রাজিল বাড়ির কথা এখন সবার মুখে মুখে। যা ইতোমধ্যে আলোড়ন তুলছে দেশ থেকে বিদেশেও। সবাই এক নামে ব্রাজিল বাড়িটিকে চিনে। শুধু বাড়িকে ব্রাজিলের পাতাকায় সাজানোই নয়, বাড়ির নামের প্লেটেও এই বাড়ির পরিচিতি এখন ব্রাজিল বাড়ি। এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ২২ জুন তার বাড়িটি দেখতে আসতে পারেন বলে এলাকাবাসীর মুখে শুনছেন টুটুল। ব্যাপারটিতে বেশ খুশি এলাকাবাসীও। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্রাজিল সমর্থকরা বাড়িটিকে এ নজর দেখতে ছুটে আসেন। বাড়িটির কারনে তাদের এলাকটির পরিচিতি শুধু এখন দেশে নয় দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রাজিল বাড়ির কারনে এদেশের পরিচিতি অন্যান্য দেশে পৌছে যাচ্ছে। জানা গেছে, বিশ্বকাপ ফুটবলের হাতে গোনা আর কয়েকদিন মাত্র। নিজ দলের প্রতি নিজেদের সমর্থনের প্রমাণ দিতে এরই মধ্যে চলছে নানা প্রতিযোগিতা। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জয়নাল আবেদিন ওরফে টুটুল ২০১০ সালের বিশ্বকাপের সময় প্রথম ব্রাজিল বাড়ি সাজিয়ে ছিলেন। সে সময় তার বাড়িটি ছিল দোতলা। নানা অপ্রতিকর ঘটনা ব্রাজিলের প্রতি টুটুলের ভালোবাসা একটুও কমাতে পারেনি। আগের বাড়ি ভেঙে এখন ছয়তলা বানিয়েছেন। ভেতরে আধুনিক ফ্যাসিলিটিজসহ সিসি ক্যামেরার কড়া নিরাপত্তা বাড়ি জুড়ে। প্রিয় দলের প্রতি ভালোবাসার নজির সৃষ্টি করতে নিজের ছয়তলা বাড়িটি ব্রাজিলের পতাকার রঙে রাঙিয়েছেন তিনি। যা ইতিমধ্যে আলোড়ন তুলেছে দেশ থেকে বিদেশেও। টুটুলের ছেলে আব্দুল কাদের শান্ত জানান, বর্তমানে অনেকে এলাকার নাম ঠিকমত না জানলেও ব্রাজিল বাড়ির নাম ভালভাবেই জানে। পাড়া-প্রতিবেশীদের ভেতর প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরা প্রথমে এ ব্রাজিল প্রীতি ভালো চোখে দেখেনি এখন তারাও রিক্স চালকদের ব্রাজিল বাড়ি যাওর কথা বলেন।
মালিক জয়নাল আবেদীন টুটুল বলেন, পুরো বাড়িটিই ব্রাজিলের পতাকার রঙে রাঙিয়েছেন। নিজেই বাড়ির নাম দিয়েছেন ব্রাজিল বাড়ি। শুধু তা-ই নয়, তার বাড়ির ছাদে উড়ছে ব্রাজিলের পতাকা। এ যেন নারায়ণগঞ্জের ব্রাজিল সমর্থকদের স্বর্গভূমি। তার ব্রাজিলের প্রতি ভালোবাসা অনেকটাই উৎসাহ দিয়েছে অন্যান্য ব্রাজিল সমর্থকদের। তার বাড়িটি এক ঝলক দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দূর-দুরান্ত থেকে আশপাশের লোকজন। এক সময় হয়ত ব্রাজিল পর্যন্ত এই বাড়ির নাম পৌঁছে যাবে। তখন ব্রাজিল বাড়ি নয় এ দেশের নাম জানবে সবাই। টুটুল আরো বলেন, ২০১০ সালরে বিশ্বকাপরে সময় প্রথম ব্রাজিল বাড়ি সাজিয়েছিলেন। সে সময় তার বাড়িটি ছিল দোতলা। তবে পাড়া-প্রতিবেশীদের ভতের পতিপক্ষ দলের সর্মথকরা তার এ ব্রাজিলপ্রীতি ভালো চোখে দেখেনি। ব্রাজিল নেদারল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার পর অনেকেই ঢিল মেরে বাড়ির কাঁচ ভেঙেছে ও গোবর ছুড়ে বাড়ি রং নষ্ট করে দিয়েছিলেন। এমনকি কেউ কেউ তাকে পাগল বলেও ডেকেছেন। ব্রাজিল সমর্থনে ছেলেকে বরাবরই উৎসাহ দিয়ে নিজেও ব্রাজিলের সমর্থক হয়ে হয়ে যান জানিয়ে টুটুলের মা আলেয়া বেগম ছেলের কারণে ব্রাজিল বাড়ির ব্যাপক পরিচিতিতে গর্ববোধ করেন বলে জানান।