রোজায় চাহিদা কমায় আম বাজারে মন্দা
মতিনুজ্জামান মিটু: আম বাজারে মন্দা, রমজানে রাজশাহী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ অঞ্চলে আম বিক্রি হচ্ছে গত মৌসুমের এই সময়ের চেয়ে অনেক কম। যদিও গোপালভোগ দিয়ে কেবলমাত্র শুরু হয়েছে এ অঞ্চলগুলোতে শুরু হয়েছে আম বেচা কেনা। দুই এক দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে গোপালভোগ আম। হিমসাগর ও খিরসাপাত গাছ থেকে পাড়া শুরুর প্রস্তুতি চলছে। বৃষ্টিজনিত ঠান্ডার কারণে এসব অঞ্চলে আম গাছ থেকে কিছুটা দেরিতে পাড়া হচ্ছে। জুন মাসের ১০ তারিখের দিকে এই অঞ্চলে ল্যাংড়া আম গাছ থেকে পাড়া হবে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট(বারি) এর চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হামিম রেজা বলেন, রোজার কারণে আম বিক্রি আনুমানিক শতকরা ৪০ ভাগ কমেছে। কারণ এসময় দিনে মানুষ আম খায়না, ইফতারি এবং সেহেরিতে খুব একটা লাগেনা। তবে এতে আমের দামের খুব একটা হেরফের হয়নি। এখানে প্রতিমণ গোপালভোগ আম ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। কুরিয়ার সার্ভিস ও ট্রাকসহ নানাভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠনো হচ্ছে এই আম। ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শরফ উদ্দিন জানান, গত বছরের চেয়ে এখানে আমের ফলন বেশি হয়েছে, তবে বাজার মন্দা। এখানকার আমের মোকাম, আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেচা বিক্রি গত মৌসুমের চেয়ে অনেক কম। রোজায় সাধারণ মানুষের আম খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। এতে বাজারের চাহিদাও কমে থাকে। সাধারণত স্থানীয়ভাবে অন্যসময় কেউ পাঁচটি খেলে রোজায় ইফতারি ও সেহেরিতে এক থেকে দুইটি আম খেয়ে থাকে। গড় হিসেবে বলা যায়, রোজায় আম খাওয়ার পরিমাণ এক তৃতীয়াংশে নেমে আসে। এতে চাষিরা দাম কিছুটা কম পেলেও আম নষ্ট হয়নি। সবই খাওয়া হয়ে গেছে। তবে রপ্তানীর অবস্থা ভাল থাকলে রোজার মাসের উৎপাদিত আম নিয়ে চাষিদের বেকায়দায় পড়তে হতো না। বিশ্ব বাজারে আরও আম রপ্তানীর সুযোগ রয়েছে। নানা কারণে বাংলাদেশের আম সম্পর্কে বিভিন্ন দেশে যে ভুল ধারণা রয়েছে তা আমাদেরকে কাঁটিয়ে উঠতে হবে।