জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণার ফলাফল বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তচ্যুতি জনগোষ্ঠির মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম
দেবব্রত দত্ত: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি বলেন, বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারনে জলবায়ু পরিবর্তনের বিবুপ প্রভাবে ঝুকি বেশী। গবেষণার মাধ্যমে সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহ চিহ্নিত করতে হবে এবং সমাধানের উপায় বের করতে হবে । জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ব্যাপক জনসচেনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন , ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ পরিবেশের সার্বিক উন্নয়নের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তিনি জলবাযু পরিবতনের ঝুকি মোকাবেলায় কার্যকর ও টেকসই প্রকল্প গ্রহনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।বিশ্বে বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি জনগোষ্ঠির মধ্যে বাংলারেদশের স্থান পঞ্চম। গতকাল বুধবার আর আই খান মিলনায়তনে ‘জলবাযু পরিবর্তনজনিত নগর সমস্যা ও বাস্তচ্যুতি মানুষের নগরে অভিগমন ও অভিযোজনঃঢাকা মহানগরের উপর গবেষনার ফলাফল প্রকাশ শীর্ষক’ সেমিনারে এই তথ্য জানানো হয়। সভায় সভাপত্বি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আকতারুজ্জামান এবং অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড.খলীকুজ্জামান আহমদ ও বাংলাদেশ জলবাযু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দীপক কান্তি পাল। গবেষনার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন গবেষনা প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড.নূরুল ইসলাম নাজেম। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারপাসর্ন অধ্যাপক ড.হাফিজা খাতুন।
গবেষনা প্রতিবেদনে বক্তারা বলেন, নদী ভাঙ্গন,বন্যা, সাইক্লোন. জলাবদ্ধতা ও খরার কারনে বাংলাদেশে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।ঢাকা মহানগরের ২০ শতাংশ এলাকাকে জলবায়ু বিপদাপন্ন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করাা হয়। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দূবর্ল ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করা হয়েছে।