ভুমি অফিসের রাজস্ব ফাঁকি অনুসন্ধানে দুদকের ঘোষণা
তরিকুল ইসলাম সুমন: অফিসে ঘুষ লেনদেনে দালালের দৌরাত্ব, জমি শ্রেনীর পরিবর্তনের নামে রাজস্ব ফাঁকি ও রেজিস্ট্রেশনের নামে অবৈধভাবে বিভিন্ন ফি আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অনেকটা তোপের মুখে রাজধানীর কয়েকটি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্তা ব্যক্তিরা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বিষয়ে ফলোআপ গণশুনানিতে বিভিন্ন অঞ্চলের সেবা গ্রহিতাদের অভিযোগের এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।
ঘুষগ্রহণসহ অবৈধ সম্পদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু অফিযোগের ভিত্তিতে ঢাকার সদরের সাব-রেজিস্ট্রার কুদ্দুস হাওলাদের বিরুদ্ধে এবং জমির শ্রেনীর পরিবর্তনের নামে সরকারের বিপুল রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে উপস্থিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ড. নাসিরউদ্দিন অনুসন্ধানের ঘোষণা দেন। গতকাল কোতয়ালি, গুলশান ও তেজগাঁওসহ কয়েকটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বিষয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
গণশুনানিতে রাজধানীর লালবাগের বাসিন্দা গাজী শহিদুল্লাহ অফিযোগ করে বলেন, আমি ২০১০ সালের একটি দলিলের কপি তুলতে তেজগাঁওয়ের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যাই। দলিলের রশিদের ফটোকপি ও থানার জিডি নিয়ে দলিল উদ্ধারে ঢাকা সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস গেলে সেখান থেকে জনৈক রাসেল (দালাল) ১৩ হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কুদ্দুস হাওলাদেরর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। টাকা না দেওয়ায় ওই দলিল তুলতে পারিনি। তাছাড়া দলিল তুলতে কেন আমি এত টাকা দিবো?
তিনি বলেন, তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রার অফিস দালাল চক্রের আস্তানা। ওই অফিসের রাসেল ছাড়া মামুন নামের আরো একজন রয়েছে যারা মূলত সাব-রেজিস্ট্রার ঘুষের টাকা সংগ্রহ করে থাকেন।
এ বিষয়ে সঞ্চালক ও দুদক পরিচালক নাসিম আনোয়ার সাব-রেজিস্ট্রার কুদ্দুসের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান, রাসেল তার অফিস ষ্টাফ নয়। তবে কেন একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার রুমে। এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেনি।
এ সময় উপস্থিত সকলে সাব-রেজিস্ট্রার কুদ্দুস হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত দাবি করা হলে দুদক পরিচালক নাসিম আনোয়ার বলেন, আমরা তথ্য সংগ্রহ করে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমি কমিশনার নাসিরউদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। পরবর্তীতে কমিশনার নাসিরউদ্দিন অনুসন্ধানের ঘোষণা দেন।