সকল পেশাজীবী মানুষকে রাজপথে নামতে হবে: রিজভী
শিমুল মাহমুদ: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলছেন, আর বক্তব্য নয়, ইফতার পার্টি মধ্য দিয়ে নয, মরণপণ করে আমাদের রাজপথে নামতে হবে, ইট কাঠ, কংক্রিটের, ধুলাবালি উড়িয়ে শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে হবে।
গতকাল রাজধানীরর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সংগ্রাম পরিষদ কতৃক আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সরকারের পতন ঘটাতে হবে। পতন না হলে ক্রসফায়ারে মৃত্যু হবে আপনার আমার অনেকের সন্তান। সরকারে পতন না হলে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্দুকযুদ্ধে অদৃশ্য হয়ে যাবে অনেকে। এই সরকার চাচ্ছে এমন একটি জেনারেশন তৈরি করতে, যে জেনারেশন বাপ-মা থাকবে না। অর্থাৎ এতিম জেনারেশন তৈরি করতে চায় সরকার। সকল ছাত্র কৃষক-শ্রমিক সকল পেশাজীবী মানুষকে রাজপথে তীব্র আন্দোলনে নামতে হবে। আইনি প্রক্রিয়া বলেন কিছু হবে না সকল আইন-আদালত শেখ হাসিনার আঁচলে শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগে বন্দী।
তিনি বলেন, এই সরকার জনগণককে সবথেকে বেশি ঘৃণা করেন এবং শত্রু মনে করেন। কারন জনগণের হচ্ছে সরকারের প্রতিপক্ষ। আর এই কারণেই জনগণের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। এত অসুস্থ তিনি তারপরও তাকে এমন জায়গায় রেখেছেন ২০০ বছরের পুরনো বিল্ডিং যেখানে ইট বালি সিমেন্ট উড়ছে প্রতিনিয়ত। এমন একটি কক্ষ যে কখনো রিপেয়ার নেই।এখানে আটকে রাখার সরকারের উদ্দেশ্য একটাই সেটা এই বর্ষীয়ান নেত্রী কষ্ট পাবে, যন্ত্রণা পাবে, মানসিকভাবে এমনকি শারীরিকভাবে। আর এই যন্ত্রণা দেয়ার মধ্য দিয়ে সরকার আনন্দলাভ করবে।
তিনি বলেন, আজকে আইন আদালত বলেন আর যাই বলেন সবই শেখ হাসিনা আচলে বাধা রয়েছে। আপনি আদালতে কথা বলছেন আদালত সরকারের কথার বাইরে যেতে পারে? যেতে পারেনা। দেশ নেত্রীকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তিনি সাত দিনের মধ্যে বের হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি যেখানে হাইকোর্ট থেকে জামিন পাচ্ছেন সেখানে সুপ্রিম কোর্টে আটকে দিচ্ছে। পৃথিবীর সকল দেশে যেখানে আইনের শাসন আছে, নূন্যতম যেখানে গণতন্ত্র রয়েছে যেখানে যত বড় আদালত মানুষের মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকে। আর আমাদের দেশে শুধু দলীয় লোক, যত উপরের দিকে যাওয়া যায় তত জুলুম, তত নিপীড়ন। এটায় বাংলাদেশের এখন অবস্থা হয়েছে।