সঠিক ব্যবস্থাপনায় পুষ্টিকর খাবার হতে পারে ডুমুর
মতিনুজ্জামান মিটু: উন্নত বিশ্বে জনপ্রিয় ডুমুর বাংলাদেশের বনে জঙ্গলে অনাদর আর অবহেলায় জন্মে বেড়ে ওঠে। অথচ সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যায় এই ফলটি হতে পারে ঔষুধিগুনের পুষ্টিকর জনপ্রিয় খাবার। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদেরও অপার সম্ভাবনা রয়েছে বহুবিধগুনের এই অপ্রচলিত ফলটির। প্রক্রিয়াজাত করে শরবত ও জ্যাম তৈরি করা যায়। ফল গুঁড়া করে তৈরি করা যায় কফির বিকল্প খাদ্য। বহুমূত্র এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ডুমুর বেশ কার্যকরি। টিউমার ও আঁচিল নিরাময়েও কাজ করে। এছাড়া এর কষ দুধকে জমাট বাঁধায়। ডুমুর কাঁচা এবং পাকা উভয়ই খাওয়া যায়। কচি অবস্থায় এটি সবজি হিসাবে আর পাকলে বলে ফল। পাকা ডুমুর খেতে মিষ্টি এবং রসালো। এর ঝোল ও ভর্তা নিরামিষভোগীর স্বাদের খাবার। ডুমুর হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজার বিশেষ খাদ্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হয়। তারা চৈত্র সংক্রান্তিতে ডুমুর দিয়ে নিরামিষ রান্না করেন।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের টেকনিক্যাল পার্টিসিপেন্ট নাহিদ বিন রফিক জানান, বন-জঙ্গলে জন্মানো ডুমুরকে অনেকেই অবহেলা করি। তবে এর যথেষ্ঠ পুষ্টিগুণ রয়েছে। দেখতে প্রায় লাটিমের মতো। গ্রামাঞ্চলে যাকে ‘বুগই’ নামে চিনে। কাঁচা অবস্থায় সবজি আর পাকলে হয় ফল। এ সবজি বা ফল সম্পর্কে আমরা ক’জনইবা জানি? অথচ উন্নত বিশ্বে সবার প্রিয়। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে এর প্রতি ১০০ গ্রাম ফলে (পাকা) ৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম আছে। অন্য উপাদানের মধ্যে শর্করা ৭.৬ গ্রাম, আমিষ ১.৩ গ্রাম, ভিটামিন-এ ১৬২ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি ০.১১ মিলিগ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.১ মিলিগ্রাম এবং খনিজ লবণ রয়েছে ০.৬ গ্রাম করে।
তিনি বলেন, এতো গুণে গুণান্বিত এ সবজি বা ফলগাছের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। এ দেশে উৎপাদিত ডুমুর স্থানীয় জাতের। যদিও এর অনুমোদিত কোনো জাত উদ্ভাবন হয়নি। তবে সার ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যার মাধ্যমে এর ফলন বাড়ানো সম্ভব। অন্যান্য অপ্রচলিত ফলের পাশাপাশি