এটা ভাওতাবাজির বাজেট: বি. চৌধুরী
রফিক আহমেদ : বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেছেন, এবারের বাজেটকে ভাওতাবাজির বাজেট। অর্থমন্ত্রী এবার আগের চাইতে আরো বিশাল আকারের বাজেট দিয়েছেন। কিন্তু বিগত বছর মহাবাজেট বাস্তবায়ন করতে পারেন নাই, গতবারের সংশোধিত বাজেট তার প্রমাণ।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরে হোটেল ৭১-এ বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আয়োজিত নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বি. চৌধুরী বলেন, তা ছ্ড়াা বাজেটে যে বিরাট অংকের ঘাটতি দেখানো হয়েছে তা পুরন করতে ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে গতবারের চেয়ে দেড়গুণ ঋণ নিবে বলে বলা হয়েছে। বাজেটে নতুন শিল্প বিনিয়োগের উদ্যোগ নেই। নতুন কর্মসংস্থানের কোনো ইঙ্গিত নেই।বিশালাকার বাজেট দিয়ে ভোটারদের ভাওতা দেওয়া হয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, গতবারের বাজেটে ট্যাক্স, খাজনা বাড়বে না বলা হলেও পরে নির্বাহী আদেশে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পেট্রোল ও যাতায়াত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন অতীষ্ঠ হয়েছে। তারপরও মাননীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, গত ১০ বছরে নাকি জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। কিনতু অর্থমন্ত্রী ভালো করেই জানেন, দ্রব্যমূল্য আর ট্যাক্সের চাপে মানুষের জীবন এখন দুর্বিষহ। বাজেটে দুর্নীতি দমনের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার বা জাতীয় সরকারের বিধান করতে পারেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্ন উঠলে এই সরকারের মন্ত্রীরা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে নাই। অথচ তারাই মাত্র ১৫ মিনিটে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিলেন।
মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- আ.স.ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, কাজী আবুল খায়ের, মুফতি ইজহারুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, আবদুর রউফ ইউসুফী, সৈয়দ নসরুল হাসান ও আকবর হোসন পাঠান প্রমুখ।
বি. চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে জেলখানায় আটক রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কি করে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে?