মেট্রোরেল নয়, পরিকল্পিত ফ্লাইওভার ব্যবস্থাপনাই ঢাকার যানজট নিরসনে একমাত্র পথ
ওয়াহিদুজ্জামান: ঢাকার ভয়াবহ যানজট নিরসনে মেট্রোরেল তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না। একমাত্র পরিকল্পিত ফ্লাইওভার ব্যবস্থাপনাই পারে দূর্বিসহ অবস্থা থেকে নগরবাসিকে মুক্তি দিতে। যেভাবে ফ্লাইওভার করা হয়েছে তাতে যানজটকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। রাজধানীর জানযট নিয়ে এমনি সব নানান মন্তব্য করেছেন পথচারী, বাসটেম্পুর যাত্রী, ড্রাইভার, হেলপারসহ অনেকেই। তারা এই ব্যাপারে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
আমাদের অর্থনীতির পক্ষ থেকে আলাপচারিতায় এই সব ভূক্তভোগী মানুষদের অনেকেই বলেছেন, যেভাবে মেট্রোরেল ব্যবস্থা গড়ে তোলে হচ্ছে তাতে তার সুবিধা সাধারণ মানুষের পক্ষে গ্রহণ করা খুবই মুশকিল। কার্ডপাঞ্জ করে ট্রেনে উঠা এবং নিদিষ্ট পয়েন্টে ওরাল পথে নামা রোগী বা সুস্থ অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। এতে ছাত্র ছাত্রী, সরকারি চাকুরীজীবিসহ মধ্যবিত্ত শিক্ষিতরা কিছুটা সুবিধা পেলেও পেতে পারেন। কিন্তু রাজধানীতে প্রতি নিয়ত লক্ষ
লক্ষ মানুষের চলাচলে এতে তেমন কোন সুবিধা আসবে না। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তির ও সৃষ্টি হতে পারে। সত্যিকার অর্থে ঢাকার ভয়াবহ যানযট নিরসনে সরকারের উচিত হবে পরিকল্পিত ফ্লাইওভার ব্যবস্থাপনার প্রতি গভীর যতœশীল হওয়া। বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় ফ্লাইওভারগুলো করা হয়েছে সেগুলো কোন এক মোড়ের ওপর দিয়ে এনে অন্য এক মোড়ের সামনে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে এসব পয়েন্টে যানজটের তীব্রতা আরো বেড়ে গেছে।
আলাপচারীতায় অনেকেই বলেন, আমরা এ ব্যাপারে এয়ারপোর্ট বিশ্বরোডের উপর নির্মিত ফ্লাইওভারটিকে পরিকল্পিত বলতে পারি। সেখানে তেমন কোন যানজট হয় না। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে এই ফ্লাইওভার মডেলটিকে ব্যবহার করতে পারি। ফ্লাইওভার রাস্তা কোন মোড়ের সামনে না নামিয়ে, মোড় ছাড়িয়ে চলমান রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া দরকার। তাছাড়াও রাজধানীর ঢাকায় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম লম্বা ফ্লাইওভার করা যেতে পারে। ফ্লাইওভারের পিলার আরো ছোট ও পরিকল্পিত হওয়া উচিত। যাতে করে পথচারী ও গাড়ী চলাচলে সামান্যতম ব্যঘাত সৃষ্টি না হয়। রাজধানী ঢাকায় এমনি সব পরিকল্পিত অসংখ্য ফ্লাইওভার তৈরি করে ভয়াবহ যানজট থেকে মুক্তির কথা বলেছেন তারা।