কিলাউইয়ার অগ্ন্যুৎপাতে ক্ষতি হচ্ছে জীবজগতের, শঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা
আজকাল : থেমেও থামছে না কিলাউয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত। স্থানীয় সময় শনিবার রাত থেকেই লাভা উদ্গিরণ শুরু হয়েছিল। রবিবার বিকেলে নতুন করে বিস্ফোরণ হয় কিলাউইয়ায়।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, এবারের তীব্রতার আগেরগুলুর থেকে কিছুটা কম। নতুন বিস্ফোরণের সঙ্গে আকাশে প্রায় ১৮০ ফুট ছিটকে ওঠে লাভার ফোয়ারা, ছাই, গলিত পাথর। ফলে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের বিগ আইল্যান্ডের রাস্তা প্রায় বরবাদ হয়ে গিয়েছে। লাভা ¯্রােত ক্রমে দ্বীপের কাপোহো অঞ্চল এবং ভ্যাকশনল্যান্ডের মধ্যে দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে বয়ে যেতে শুরু করেছে।
গত ৩ মে থেকে কিলাউইয়ায় অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল। রবিবারের বিস্ফোরণ ছিল অগ্ন্যুৎপাতের ৩৯তম দিন। গত ২০ মে প্রথমবার প্রশান্ত মহাসাগরের জল ছোঁয় কিলাউইয়ার লাভা ¯্রােত। হাওয়াই জরুরি মোকাবিলা সংগঠনের মুখপাত্র রিচার্ড র্যাপোজা বলেছেন, যদিও কখন, কীভাবে আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ ঘটবে তা আগে থেকে বলা অসম্ভব, তবুও এখনকার পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল। আগ্নেয়গিরির মুখগহ্বরে ক্রমাগত কম্পন ঘটে চলেছে। তার ফলে প্রায় ১০,০০০ ফুট উঁচুতে ছিটকে উঠছে গ্যাস, ছাই।
বললেন হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ স্কট রোল্যান্ড। ৬০০টি বাড়ি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন।
প্রাণী বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এভাবে কিলাউইয়ায় অগ্ন্যুৎপাত চলতে থাকলে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ এবং প্রশান্ত মহাসাগর সংলগ্ন এলাকার জীবজগত এবং সামুদ্রিক প্রাণীজগতে তার ভয়ানক প্রভাব পড়বে।
কারণ লাভায় থাকে সালফার ডাইঅক্সাইড এবং হাইড্রিওডিক অ্যাসিড। যা সমুদ্রের নোনা জলের সঙ্গে মিশে জলের অ্যাসিডিটি বদলে দেয়। যার মারাত্মক প্রভাব পড়ে জীবজগতে।
এছাড়া লাভার সঙ্গে সমুদ্রের জলের মিশ্রনে তৈরি হয় ছোট ছোট কাচের টুকরো। এই কাচের টুকরোগুলি সামুদ্রিক প্রাণীদের শরীরে ঢুকে গিয়ে তাদের মেরে ফেলতে পারে। হাওয়াইয়ের জীবজগতকে পুনরাবস্থায় ফিরতে কয়েক শতক লেগে যাবে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
৯৮০ সালে ওয়াশিংটন স্টেটের হেলেনা পর্বতের অগ্ন্যুৎপাতে প্রাণ গিয়েছিল ৬০ জনের। কয়েকশো বর্গফুট এলাকা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে এত বড় অগ্ন্যুৎপাত আর দেখেনি আমেরিকা। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ